অনলাইন প্রতিনিধি :-শুরুতে ছোট বেলার একটি খুবই জনপ্রিয় রাজনৈতিক স্লোগান এবং দেওয়াল লিখনের কথা মনে পড়ছে।সেটি হলো,’দিল্লী থেকে এলো গাই,সঙ্গে প্রচুর সিপিআই’।রাজনীতি প্রিয় বাঙালির বারো মাসের তের পার্বণের সাথে আরেকটি পরব হলো ভোট পর্ব।প্রতি বছরই কোনও না কোনও ভোটপর্ব থাকে।আর সেই ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির রঙ্গ, তামাশা,কার্টুন এবং সব থেকে আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য হয়ে উঠে দেওয়াল লিখন। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এই লড়াই চলে আসছে।তবে সময় এবং কালের বিবর্তণে এখন বদলে গেছে ভোট প্রচারের ধরন ধারণ। ছড়া-কবিতা,কার্টুনের গুঁতোয় প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করার সনাতনী বিরোধ এখন প্রায় অতীত বললেই চলে।তার বদলে স্থান করে নিয়েছে পেশী শক্তি,হুমকি,অস্ত্রের ঝলকানি,সন্ত্রাস,রক্তের হোলি খেলা।এসবই এখন বাঙালির ভোটপর্বের অন্যতম প্রধান উপাদান।ছড়া,কবিতা,কার্টুন ক্রমশ চাপা পড়ে গেছে ডিজিটাল প্রচারের কাছে।অথচ এক সময়ে ভোট নিয়ে ছড়াযুদ্ধ এবং দেওয়াল লিখন বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করা হতো। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায়।সত্তরে দশকে এমন কত ছড়া এবং দেওয়াল লিখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরেছে।একসময় কংগ্রেস লিখেছিল,’চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে,ছাদনা তলায় কে? হাতি নাচছে, ঘোড়া নাচছে, জ্যোতিবাবুর বে’।সাথে সাথে বামেরাও জবাব দিয়ে পাল্টা লিখে ‘ঠিক বলেছিস ঠিক বলেছিস ঠিক বলেছিল ভাই, ইন্দিরাকে ছাদনাতলায় সাজিয়ে আনা চাই’।কখনও কখনও ব্যক্তি আক্রমণও লক্ষ্য করা গেছে।তবে সেরা দেওয়াল লিখন বোধ হয় বফোর্স কেলেঙ্কারি নিয়ে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়/রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়’।এরপর গঙ্গা-গোমতী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে।দেওয়াল লিখনের ধরন-ধারনে কিছুটা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ বাম শাসনের পতনের আগেও এমন ছড়াযুদ্ধ লক্ষ্য করা গেছে।ওই সময় তৃণমূলের দেওয়াল লিখন ছিলো, ‘মাসিক বেতন বিশ হাজার, বিপিএল পায় তারা/ রিকশা চালায় যে বন্ধুরা ঘৃণার পাত্র তারা/ ঘর নেই চাষ নেই,পায় না খেতে ভাত/ সিপিএমকে ভোট না দিলে,কেটে নেবে হাত’।ওই সময় তণমলের আবরও একটি দেওয়াল লিখন সুপার হিট হয়েছিল।সেটি হলো,১৯৭৭ নং বামফ্রন্ট ডাউন লোকাল ৩৪ নং প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছে,২০১১ নং আপ মা-মাটি মানুষ এক্সপ্রেস ওই প্ল্যাটফর্মে আসছে’।বঙ্গে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠার পর কয়েক বছর যেতে না যেতেই সিপিএম লিখলো,’কি পরিবর্তন আনলে কাকা /বাজার করতে পকেট ফাঁকা’।এরপর যত দিন গড়িয়েছে দেওয়াল লিখনের ছড়া থাকলেও শব্দ পাল্টেছে। তবে একটা বিষয় উল্লেখ করতেই হবে।বাঙালির ভোটপর্বে দেওয়াল লিখনে ত্রিপুরায় ভাটা পড়লেও, পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু এখনও সেই সংস্কৃতি অনেকটা ধরে রেখেছে বলা যায়।বঙ্গের ভোটে আজও দেওয়ালে দেওয়ালে ছড়ার ছড়াছড়ি। বেশ মজাদারও বটে।যেমন ইদানিংকালে বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় চোখে পড়েছে ‘পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তোলো,হাওয়াই চটি বদলে ফেলো’।মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নাম না বলে বলা হলো ‘হাওয়াই চটি’।কেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সব সময় নীল সাদা কালারের হাওয়াই চটি পড়েন।তাঁর দলের রংও নীল সাদা।যেমন ‘কালীঘাটে টালির চালা, চোরেদের পাঠশালা, এই তৃণমূল আর না আর না’। ‘মা-কাঁদছে মাটি-ফাঁটছে মানুষ বলছে বিজেপি আসছে’।মা-মাটি-মানুষ হচ্ছে তৃণমূলের দলের ট্যাগলাইন। বিজেপি লিখেছে,’দশটা বছর চোরকে দিলেন,চৌত্রিশ বছর বাম /পাঁচটা বছর দিয়েই দেখুন, কেমন রাখে রাম’।বাঙালির ভোটপর্বে দেওয়াল লিখন সংস্কৃতি এমন ক্রমশ বিলুপ্তির পথে।ত্রিপুরায় সেই অর্থে এমন দেওয়াল লিখনে ছড়া, কবিতা, কার্টুন চোখে পড়ে না। তার জায়গায় রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্ন আঁকা হচ্ছে।লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে শাসক দল বিজেপি গত দুই দিন আগে থেকে দেওয়ালে প্রতীক চিহ্ন আঁকতে শুরু করেছে। এতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আধুনিকতার এই সময়ে ভোট যুদ্ধে বাঙালির এই কৃষ্টি সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে ক্ষতি কি?
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…