দেশে জনসংখ্যা বাড়াতে নয়া অ্যাপ আনল জাপান!!

 দেশে জনসংখ্যা বাড়াতে নয়া অ্যাপ আনল জাপান!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশে জন্মহার অস্বাভাবিক রকম নিম্নগামী।সরকারি তরফে নানা ধরনের প্রণোদনা প্রকল্প নিয়ে আসা হলেও তাতে লাভ হয়নি।এবার জনসংখ্যা হ্রাসে লাগাম পরাতে তরুণ-তরুণীদের বিয়ে এবং সন্তান উৎপাদনে উৎসাহিত করতে চাইছে জাপান সরকার।সেই লক্ষ্যে সরকারের তরফে নিয়ে আসা হচ্ছে একটি ‘ডেটিং অ্যাপ’। শীঘ্রই সে অ্যাপের যাত্রা শুরু হচ্ছে।জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রকের নতুন পরিসংখ্যান জানিয়েছে, গত বছর এ দেশে একজন মা-পিছু শিশু জন্মের হার ছিল ১.২৬।কিন্তু সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এই হার ১.২০-তে নেমে এসেছে।এত কম জন্মহার দেশের নাগরিক ভারসাম্যের জন্য উদ্বেগজনক, মনে করছে ফুশিমো কিশিদার সরকার। এই কারণেই সরকারি উদ্যোগে নিয়ে আসা হচ্ছে ডেটিং অ্যাপ।মনের মানুষ খুঁজে পেতে,তাদের পরিণয়ে উদ্বুদ্ধ করতেই আসছে এই অ্যাপ।
গত ফেব্রুয়ারীতে জাপান সরকার বলেছিল,দেশের রেকর্ড সর্বনিম্ন জন্মহারের সমস্যা মোকাবিলার জন্য ‘নজিরবিহীন পদক্ষেপ’নিতে হবে।এই ডেটিং অ্যাপ বানাতে এবং বিয়ের প্রচারমূলক প্রকল্পের জন্য ১.২৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার (তথা টোকিও পুরসভা)।ব্যবহারকারীরা যাতে সর্বশেষ লক্ষ্য হিসেবে বিয়ে করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন, সেভাবেই সাজানো হয়েছে এই অ্যাপের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
জাপানের জাতীয় দৈনিক দ্য আসাহি শিম্বুন জানিয়েছে, অ্যাপটিতে শুধু ফটো আইডি নয়, তার সঙ্গে আয় সংক্রান্ত নথি এবং নিজের সম্পর্কের অবস্থা রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস) নিশ্চিত করে একটি অফিশিয়াল নথি দিতে হবে ব্যবহারকারীকে।আসাহি শিম্বুনের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাপে ব্যবহারকারীর উচ্চতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ ১৫টি ক্যাটেগরি বা মাপকাঠির ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে।এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ব্যবহারকারীরা অ্যাপের অপারেটরের সঙ্গে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে,তারা বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজছেন, স্রেফ সময় কাটানোর জন্য নয়।
টোকিও পুরসভার এক কর্তা দ্য আসাহি শিম্বুনকে বলেন, ‘বিয়ে করতে আগ্রহী কিন্তু সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না, এমন মানুষ থাকলে আমরা তাদের সহায়তা করতে চাই।’ পাত্র-পাত্রীর সন্ধানের জন্য সরকারি উদ্যোগে এভাবে অ্যাপ বানানোর ঘটনা বিরল। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বানানো অ্যাপ মানুষকে মূলধারার অ্যাপগুলির অপব্যবহার বন্ধ করতে উৎসাহিত করবে।
২০২১ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, জাপানে ব্যবহৃত ৬০ শতাংশ ডেটিং অ্যাপেই বৈবাহিক অবস্থা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেন ব্যবহারকারীরা। সেইসঙ্গে ভুয়া প্রোফাইলসহ অন্যান্য সমস্যাও আছে।তবে এ দেশে ডেটিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। জাপানে টোকিওর ৫০ বছর বয়সি বাসিন্দাদের মধ্যেই অবিবাহিতের হার সবচেয়ে বেশি।এই বয়সি ৩২ শতাংশ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ মহিলা অবিবাহিত।
টোকিও সরকারের এই ডেটিং অ্যাপ আনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।জনসংখ্যা হ্রাসকে জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়েও মারাত্মক হুমকি বলে আখ্যা দেওয়া মাস্ক এ অ্যাপের সমর্থনে টুইটও করেছেন। টুইট বার্তায় মাস্ক লিখেছেন, জাপান সরকার জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সমস্যাটিকে স্বীকৃতি দেওয়ায় তিনি ‘আনন্দিত’।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.