রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যতই চেষ্টা করছে এবং প্রত্যাশায় বুক বাঁধছে যে , অর্থনীতি এবার ধীরে ধীরে ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দে , ততই যেন একের পর এক ধাক্কা এসে সেই ছন্দে ফেরার আশাকে নষ্ট করে দিচ্ছে । যা মোদি সরকারের কাছেও বিশেষ উদ্বেগজনক এক প্রবণতা । অর্থনীতি এবং মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ে নাজেহাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবার নতুন করে জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যানে আবার ধাক্কা খেল । ২০২২ সালের আর্থিক বছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে আশাতীত জিএসটি আদায় হয়েছিল । ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা আদায় হওয়া ছিল ২০১৭ সালের পর বিগত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড ।
এপ্রিল মাস থেকেই অর্থমন্ত্রক মনে করেছে এবার সম্ভবত অর্থনীতির মন্দার কালো ছায়া কেটে যাচ্ছে । আর করোনাকালের অন্ধকারও অনেকটাই স্তিমিত । করোনার কোনও বড়সড় নতুন ঢেউও আসেনি । এই অবস্থায় একমাত্র চিন্তা ছিল মূল্যবৃদ্ধির হার । বিশেষ করে পাইকারি পণ্য সূচক যেভাবে পনেরো শতাংশের উপরে চলে যায় সেটি নিয়ে চরম আশঙ্কায় পড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একটানা এক বছর ধরে সেই প্রণবতা বজায় রয়েছে।সম্প্রতি পাইকারি পণ্য সূচক কিছুটা কমলেও সেটা দশ শতাংশের নীচে আসছে না । আর যতক্ষণ না সেটা দশ শতাংশের কম হবে , ততক্ষণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বস্তি পেয়ে এটা মনে করবে না যে খুচরো ও পাইকারি দুই মুদ্রাস্ফীতির হারই এবার কমে হবে চার শতাংশ অথবা তার কম।
তখনই বলা যেতে পারে যে মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে । কিন্তু সেটা হয়নি । জুলাই মাসেরও মূল্যবৃদ্ধির হার হয়েছে ৬.৫ শতাংশ । এমতাবস্থায় জুলাই মাসের থেকেও জিএসটি আদায় অনেকটা কমে গেল । বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আগষ্ট মাসে দেশে মোট জিএসটি আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা । অর্থাৎ এক ধাক্কায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে আদায় । প্রসঙ্গত , সম্প্রতি নতুন কিছু পণ্যের উপর জিএসটি আরোপ করা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সরকারপক্ষের চরম এক বিরোধ হচ্ছে । সাধারণ মানুষের ব্যবহার করা নিত্যপণ্যের উপর অথবা চিকিৎসাক্ষেত্রে জিএসটি বলবৎ করা নিয়ে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনা চলছে ।
অন্যদিকে সরকার পক্ষ জানাচ্ছে , জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে । আর সেই কমিটির সদস্য সমস্ত রাজ্য । সুতরাং এটা একা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নয় । এ রকমই আবহে যেখানে নতুন পণ্যের উপর জিএসটি আরোপ করা হয়েছে , সেখানে কেন জিএসটি আদায় কমে গিয়েছে সেটা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে । সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে , গত বছরের তুলনায় আগষ্টের জিএসটি আদায় অনেকটাই বেড়েছে । ১ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছিল ২০২১ সালের আগষ্টে । সেটা এবার হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা । এমনকী ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও এই প্রবণতা । জুলাই মাসে জিএসটি আদায় হয়েছিল ৬৩ কোটি টাকা । আগষ্টে হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…