দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে

 দেশে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দেশে গত চার বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ২০০। বর্তমানে দেশে মোট বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৬৭। সাম্প্রতিককালে দেশে য়ে ব্যাঘ্র শুমারি হয়েছে এ থেকেই এই তথ্য জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার এই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। তথ্য অনুযায়ী দেশে বাঘের সংখ্যা ২০০৬ সালে ছিল ১৪১১, ২০১০ সালে ছিল ১৭০৬, ২০১৪ সালে ২২২৬, ২০১৮ সালে ২৯৬৭এবং ২০২২ সালে সর্বশেষ যে সংখ্যা তাতে দেখা যায় বর্তমানে দেশে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৬৭। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘প্রজেক্ট টাইগার’ শীর্ষক যে কর্মসূচি এর ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিনই ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্স’ শীর্ষক একটি প্রোগ্রামের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।এছাড়া একটি পুস্তিকারও আবরণ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী ‘অমৃতকাল কা টাইগার ভিশন’। বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, বন্যপ্রাণীকে সংরক্ষণ আমাদের যেকোনও মূল্যে করতে হবে। এটা হচ্ছে গোটা বিশ্বের একটা ইস্যু, চাহিদা। রবিবার যে প্রকল্পের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী তাতে বাঘকে সংরক্ষণ এবং রক্ষার কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিতা বাঘের সংখ্যা আমাদের দেশে কমছে। সেজন্য আমরা নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতা বাঘ এনেছি। এটা আমাদের চিতা বাঘের ক্ষেত্রে বড় সাফল্যও বটে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ভারতের মতো দেশে প্রকৃতি সংরক্ষণ হচ্ছে একটি সংস্কৃতির অঙ্গ। আমরা পরিবেশ এবং অর্থনীতির মধ্যে সংঘাত চাই না । আমরা চাই এই দুই বিষয় একসাথে চলুক।২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়া মহাদেশের দেশগুলিকে কীভাবে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীদের নিয়ে ব্যবসা হয় তা তুলে ধরেছিলেন এবং তা আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছে তুলে ধরেছিলেন।
ইতোমধ্যেই বাঘ, সিংহ, চিতা, পুমা, জাগুয়ার ইত্যাদি প্রজাতির বড় বিড়ালদের সংরক্ষণ এবং রক্ষার বিষয়ে ভারত উদ্যোগী হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত ১ এপ্রিল ১৯৭৩ সালে প্রজেক্ট টাইগার নামের একটি প্রকল্পের সূচনা করে। বিশেষ করে বাঘ সংরক্ষণের জন্যই এই প্রকল্প হাতে নেয় দেশ। সেসময় দেশে মোট বাঘের সংখ্যা ছিল ১৮২৭৮ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে ৯। বর্তমানে ৭৫০০০ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে বাঘের সংখ্যা ৫৩। প্রসঙ্গত, এদিন প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটকের বান্দিপুর ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রটি পরিদর্শন
করেন। সেখানে তিনি জিপে সওয়ার হয়ে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.