মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
দৈনিকের সাংবাদিকের উপর প্রাণঘাতী হামলা, ধৃত দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠালো আদালত!!
অনলাইন প্রতিনিধি:- দৈনিক সংবাদের সাংবাদিকের উপর প্রাণঘাতী হামলায় ধৃত শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতী জয়ন্ত গোপ ওরফে (মিটন)-কে শুক্রবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রীণা দেববর্মা ১৪ হারাষ্ট্র দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এয় দেখুন এই দুষ্কৃতীকে পুনরায় আদালতে তোলা হবে ২৮ নভেম্বর। ধৃত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ১১৭(২)/৩৫১(৩)/১০৯ বি- এন-এস ধারায় মামলা নিয়েছিল পুলিশ। যার কেস নম্বর ৭৫/২০২৪। উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর রাতে নিজের পাড়ায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে প্রাণঘাতী হামলার মুখে পড়েছিল দৈনিক সংবাদের খোয়াইয়ের সাংবাদিক আশিস চক্রবর্তী। শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতী জয়ন্ত গোপের তীব্র আক্রোশ বিজেপি দলের খোয়াই মণ্ডল সভাপতি বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধ পথে কামাই করে নিচ্ছেন, অথচ এই খবর কেন দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় ছাপানো হচ্ছে না। সেই ক্ষোভে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতী সাংবাদিকের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল। গত এক বছর পূর্বেও এই সাংবাদিকের বাড়িতে এই দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তখন এই দুষ্কৃতী ছিল খোয়াই বিধানসভার ২২ নং বুথের বুথ সভাপতি। বিজেপি খোয়াই মণ্ডল সভাপতির খুব কাছের লোক ছিল এই দুষ্কৃতী। সে বিভিন্ন অপরাধজনিত কাজে যুক্ত থাকার পর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে মণ্ডল সভাপতির চাপে পড়ে জয়ন্ত গোপকে বুথ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই এই দুষ্কৃতী মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয়। দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার কারণে এই দুষ্কৃতী মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নিতীর অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয়।
দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার কারণে এই দুষ্কৃতী মণ্ডল সভাপতির নারী নক্ষত্র নাকি সবই জেনে গিয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, শাসক দল আশ্রিত এই দুষ্কৃতী মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয় এই আশঙ্কায় প্রথমে তাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিকের উপর প্রাণঘাতী হামলার পর এ দিন রাত সাড়ে বারোটায় খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার এই দুষ্কৃতীর বাড়ির সামনে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার উদ্দেশে পৌঁছলে পুলিশকে বলা হয় তাকে গ্রেপ্তার না করার জন্য। বিষয়টি তারা মণ্ডলে বসে মিটমাট করে নেবে। ইতিপূর্বেও খোয়াই মহকুমায় বহু সাংবাদিক দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেয়েছেন। মণ্ডল সভাপতি সমস্ত ঘটনা মণ্ডল কার্যালয়ে বসে মিটমাট করার কথা বলে দুষ্কৃতীদের উৎসাহিত করেছেন, এমন অভিযোগ সাংবাদিক মহল
থেকেও উঠছে। অভিযোগ, খোয়াই মণ্ডলের পরিচালন ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতায় গোটা মহকুমা জুড়ে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। যখন যেখানে খুশি তাকেই মারধর করা হচ্ছে। দলীয় কর্মী দলীয় কর্মীর হাতে রক্তাক্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আইনের আশ্রয় নিতে গিয়েও পারছেন না। বিজেপি খোয়াই মণ্ডলের অভ্যন্তরীণ শক্তি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে কয়েক টুকরো হয়ে রয়েছে। গতকাল ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে উত্তর সিঙ্গিছড়া গ্রাম থেকে দুই যুবককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সাংবাদিক পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হলেও, এক্ষেত্রে দল কাউকে এখনও বহিষ্কার করেনি। আর এ নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ দলীয় সমর্থিতরাই।