দৈনিক সংবাদের কৈলাসহর প্রতিনিধির প্রাণনাশের চেষ্টা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-এবার
দৈনিক সংবাদের কৈলাসহর প্রতিনিধি অরিন্দম দে-র প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় নিগো মাফিয়ারা।ঘটনা শনিবার রাতে কৈলাসহর পাইতুরবাজার পদ্মের পাড় এলাকায়।দৈনিক সংবাদের কৈলাসহর প্রতিনিধি পেশাগত দায়িত্ব পালন করে প্রেস ক্লাব থেকে বাড়ি ফেরার পথে,বাড়ির পার্শ্ববর্তী স্থানে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতী (নিগো মাফিয়া)সাংবাদিক অরিন্দম দেবকে গালিগালাজ শুরু করে।সাংবাদিক শ্রীদে বাইক থেকে নেমে বাড়ির গেট খুলে প্রবেশ করতে গেলে, দুষ্কৃতীরা তাঁকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে।সাংবাদিক নিজে প্রতিরোধ করলে এবং চিৎকার করাতে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে।এরপরই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিক শ্রীদে সাথে সাথেই পুলিশকে ঘটনাটি জানালে এসডিপিও জয়ন্ত কর্মকার এবং থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী পুলিশ ও টিএসআর নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।কথা বলেন, সাংবাদিক শ্রীদে’র সাথে। এদিন রাতে সাংবাদিক শ্রীদে’র বাড়ি এলাকায়
টিএসআর মোতায়েন থাকে। আজ সাংবাদিক অরিন্দম দে কৈলাসহর থানায় বিস্তারিত উল্লেখ করে তিন অভিযুক্তের নাম ধাম দিয়ে কৈলাসহর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
উল্লেখ্য,গত ১৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী টিংকু রায়ের বাড়ির কুড়ি মিটারের মধ্যে গোপাল দাস নামে এক ঠিকাদারের বাড়িতে হামলা চালায় নিগো মাফিয়ারা।অভিযোগ, হামলাকারীরা শাসকদলের আশ্রিত। গোপাল বাবু এই ব্যাপারে কৈলাসহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই খবরটি প্রথমে দৈনিক সংবাদ অনলাইনে সম্প্রচার এবং প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পরই সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য তথা বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল কর টেলিফোনে সাংবাদিককে হুমকি দেয়। এরপর চণ্ডীপুর যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি বাবুল দেব সাংবাদিককে ফোন করে হুমকির সুরে শ্রীরামপুর যাওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু প্রতিবেদক যায়নি। পরবর্তীকালে সাংবাদিক শ্রীদেব বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য বিমল করের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান,বিষয়টি মন্ত্রী দেখছেন।
এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে,মন্ত্রীকে বদনাম করতেই বিমল কর বারবার মন্ত্রীর নামকে জড়িয়ে কথা বলেন।এরপরই শনিবার রাতে সাংবাদিক শ্রীদেবের প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। কৈলাসহরে নিগো বাণিজ্য এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, স্বদলীয়রা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে।কেউ কারও কথা শুনছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সাংবাদিকরা পর্যন্ত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এখন দেখার শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয়।