বাংলা অভিধানে ‘দ্বিচারিতা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে স্ববিরোধী ক্রিয়া।অর্থাৎ নিজের কথা ও আচরণের পারস্পরিক বিরোধিতা। আরও একটু বিস্তারিতভাবে বললে ‘দ্বিচারিতা’ মানে দুই ধরনের চরিত্র।কথা ও কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক বোঝাতেই দ্বিচারিতা শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।শুধু আমাদের দেশেই নয়, গোটা পৃথিবীতেই ‘দ্বিচারিতা’ ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত,প্রতিদিন। তবে আমাদের দেশে ‘দ্বিচারিতা’ শব্দটির সাথে ভীষণভাবে পরিচিত রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা।সেই শাসকদলই হোক, কিংবা বিরোধী দল। দ্বিচারিতার প্রশ্নে সকলেই এক সারিতে অবস্থান করেন। পার্থক্য শুধু সময়-কাল এবং পরিস্থিতির।এই দেশে রাজনীতিতে বড্ড বেশি দ্বিচারিতা।প্রায়ই দ্বিচারিতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।এই দেশে রাজনীতি মানেই নিজের দোষ আড়াল করে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো।এই কাজে যে বা যারা পারদর্শী, রাজনীতিতে তাদেরই রমরমা। অনেকেই বলেন ‘দ্বিচারিতা’ রাজনীতির অন্যতম প্রধান উপাদান এবং কৌশল। দ্বিচারিতা নামক কৌশল অবলম্বন করতে না পারলে রাজনীতি এবং ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।তাই রাজনীতি এবং দ্বিচারিতা, দুটোই একে অপরের পরিপূরক।এমনটাই মনে করেন রাজনীতির পণ্ডিতরা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন ‘দ্বিচারিতা’ শব্দটি নিয়ে আলোচনা?আলোচনা এই কারণে যে,সম্প্রতি কলকাতা আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এক তরুণী চিকিৎসকের উপর বর্বরোচিত পাশবিক অত্যাচার করে তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তারপরের ঘটনা আরও মারাত্মক।বঙ্গের সরকার, প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং যাবতীয় তথ্য প্রমাণ লোপাট করে দেওয়ার আপ্রাণ প্রয়াস চালিয়েছে। এখনও সেই প্রয়াস অব্যাহত বলে খবরে প্রকাশ।এই নৃশংস ঘটনায় গোটা দেশ এখন প্রতিবাদে উত্তাল।সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধীক্কার জানিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। আমাদের ব্রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর জি করের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।এই পর্যন্ত সবই ঠিক আছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বঙ্গের আরজিকরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিন্দা জানিয়ে সরব হলেও,নিজ রাজ্যে উদয়পুরে নাবালিকা গণধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী নীরব।যদিও এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।কিন্তু মেয়েদের নিরাপত্তার প্রশ্নে দুই অবস্থান কেন হবে?
এখানেই শেষ নয়, উদয়পুরে এক শিক্ষককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো।রাজ্যের ইতিহাসে এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীকালে যা দেখা গেল, তা আরও মারাত্মক এবং নিন্দনীয়।বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে পুলিশ ও চিকিৎসকের ভূমিকা।কর্তব্যে চরম গাফিলতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি পবিরারটি আদৌ শেষ পর্যন্ত ন্যায় বিচার পাবে কি না?সেটা নিয়েই এখন বড় ধরনের সন্দেহ তৈরি হয়েছে জনমনে।ফলে দ্বিচারিতা অভিযোগ উঠা খুবই স্বাভাবিক।তবে একটা বিষয় ভুলে গেলে চলবে না, মানুষ যখন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে তখন আর কোনও কৌশলই কাজে আসে না। এটাই বাস্তব।এটাই চিরন্তন সত্য।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…