দ্বিতীয় বিজেপি জোট সরকারের, সুশাসনে মাফিয়া হুমকিতে ভয়ে তটস্থ খোদ ক্লাব, থানায় এজাহার।।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-দ্বিতীয় বিজেপি জোট সরকারের তথাকথিত সুশাসনে গোটা রাজ্যে সমাজদ্রোহী মাফিয়া এবং নিগো মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, সাধারণ মানুষের সাথে সাথে এলাকার ক্লাব পর্যন্ত ভয়ে তটস্থ।পরিস্থিতি যেন একপ্রকার নিয়ন্ত্রণহীন। মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সাহস করে অভিযোগ জানালেও, প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শনিবার এমনই এক ঘটনা এবং অভিযোগ সামনে এসেছে রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এমবিবি ক্লাবের পক্ষ থেকে। লিটন সাহা নামে এলাকারই এক কুখ্যাত নেশা কারবারি এবং সমাজদ্রোহী মাফিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ মার্চ পূর্ব আগরতলা থানায় লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দায়ের করা হয়েছে এমবিবি ক্লাবের পক্ষ থেকে।কিন্তু শনিবার রাত আটটায় খবর লেখা পর্যন্ত পূর্ব থানার পুলিশ অভিযুক্ত লিটন সাহার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এমবিবি ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক সহ একাধিক সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ (এজাহার) পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, লিটন সাহা এমবিবি ক্লাব এলাকার বাসিন্দা এবং একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি।গত ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং সকাল ১১টায় ক্লাবের সভাপতি প্রকাশ রায়কে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হুমকী দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর গত ৩ মার্চ, ২০২৫ ইং দুপুর দেড়টায় শান্তিপাড়ায় এমবিবি ক্লাবের সভাপতি প্রকাশ রায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বহিঃরাগত এবং অপরিচিত দুই-তিনজন যুবককে সাথে নিয়ে ঢুকে শ্রীরায়কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে অতিসত্বর ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য। এতে করে খোদ ক্লাবের সভাপতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রাণ নাশের আশঙ্কা করছেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, উক্ত লিটন সাহার বিরুদ্ধে গত ১১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে জিরানীয়া থানা এনডিপিএস অ্যাক্টে একটি মামলা নথিভুক্ত করে। জিরানীয়া থানা কেইস নম্বর 003/2023।বর্তমানে উক্ত লিটন সাহা জামিনে আছে। এখানেই শেষ নয়, উক্ত লিটন সাহার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে ইডি কর্তৃক একটি মামলা নভিভুক্ত হয়েছে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইডির আধিকারিকরা উক্ত লিটন সাহার বাড়িতে দুইবার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, গত বছরের পনেরো অক্টোবর এমবিবি ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন রাজ্য সরকার ও পুর নিগমের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মায়ের গমন অনুষ্ঠানে ক্লাবের সম্পাদক শশাঙ্ক রায়কে মারধর করেছে। এই ব্যাপারেও আগরতলা পশ্চিম থানায় লিটন সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তক্রমে সমাজদ্রোহী লিটন সাহার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে এমবিবি ক্লাবের পক্ষ থেকে। এজাহারে আরও বলা হয়েছে যে, ক্লাবের সভাপতি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ থাকায় এবং কাবের অন্যান্য কার্যকরী সদস্যদের উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাপেক্ষে এজাহার দাখিল করতে খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, মাফিয়া দৌরাত্ম্যে খোদ একটি ক্লাবেরই যখন এই অবস্থা, তখন সাধারণ মানুষের অবস্থাটা কী? তা সহজে অনুমেয়। সুশাসনের পুলিশ প্রশাসন আদৌ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা? সেটাই এখন দেখার।