দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ।
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || গত প্রায় দু’ মাস ধরে বন্ধ উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট কাজ দ্রুত শেষ করতে এবং পাশাপাশি উমাকান্ত মাঠের ভেতরে পশ্চিম দিকে যেখানে পেভার ব্লক বসানো হয়েছে তাতে শীঘ্রই টার্ফ বসানোর জন্য নির্মাণ সংস্থাকে নির্দেশ দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে পরিদর্শনে যান ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায়।সাথে ছিলেন ক্রীড়া দপ্তরের অফিসার আধিকারিক এবং টিএফএর কর্মকর্তারা। ছিলেন নির্মাণ সংস্থা মেনিডকোর অধিকারীকরা। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের কাজ সহ পুরো মাঠ ঘুরে দেখেন ক্রীড়ামন্ত্রী।একমাস বাদেই চলতি মরশুমের ঘরোয়া ক্লাব লীগ ফুটবলের আসর শুরু হচ্ছে।তার আগেই ফ্লাডলাইটের কাজ শেষ করার জন্য নির্মাণ সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেনএ দিন ক্রীড়ামন্ত্রী।
পাশাপাশি মাঠের ভিতরে পশ্চিম দিকে ফেন্সিং বরাবর যেখানে পেভার ব্লক বসানো হয়েছিল তার উপর টার্ফ বসানোর কথাও বলেছেন মন্ত্রী। কেননা ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ফুটবলারদের চোট আঘাতের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে। টার্ফ বসানো হলেও আর কোনও সমস্যা থাকবে না। এদিকে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামের গ্যালারির বাইরের দিকে যে স্টলগুলো রয়েছে তার দায়িত্ব টিএফএর হাতে তুলে দিতে ক্রীড়ামন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে।টিএফএর তরফে ক্রীড়ামন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে যে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামের দোকানগুলো রয়েছে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্যদের নিয়ন্ত্রণে স্বল্প পরিমাণ ভাড়ার বিনিময়ে এই দোকান স্টলগুলো বহু দিন ধরে চলছে। দোকান স্টল গুলো থেকে ভাড়া বাবদ যে অর্থ আসে তা যদি টিএফএর তহবিলে আসে তাতে রাজ্য ফুটবল সংস্থা আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হবে।
ক্রীড়ামন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে টিএফএর কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন। এদিকে গত ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার হাত ধরে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামের ফ্লাইডলাইটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। ফ্লাডলাইটে বসানোর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। নির্মাণ সংস্থা মেনিডকো দাবি করেছিল দু’মাসের মধ্যে ফ্লাডলাইট বসানোর কাজ শেষ করবে। তবে কাজ শুরু হবার কিছু দিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে আর্থিক সমস্যার কারণেই নাকি মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল।