কেন্দ্রীয় রিপোর্টে প্রকাশ্যে এলো ত্রিপুরার শিক্ষার বেআব্রু চেহারা!!
ধর্ষকের ২০ বছরের কারাদণ্ড
দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে ধর্ষণ করার দায়ে অভিযুক্ত প্রণজিত দেবনাথ কে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। একইসাথে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বুধবার বিলোনিয়ার জেলা ও দায়রা জজ এই রায় দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সনের ১ নভেম্বর। এদিন শান্তির বাজার এলাকার বাসিন্দা দশম শ্রেণীর ওই নাবালিকা ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়েছিলো। বেতাগার বাসিন্দা ২৭ বছরের যুবক প্রনজিত দেবনাথ তার আরো দুই বন্ধুসহ অলটো গাড়ি করে নাবালিকা ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
মেলাঘরে প্রনজিত দেবনাথের এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে তোলে। এদিকে দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার তাকে খুঁজে না পেয়ে শান্তিরবাজার থানায় মামলা দায়ের করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত প্রনজিত দেবনাথ ওই নাবালিকা ছাত্রীকে মেলাঘরে নিয়ে গেছে। শান্তির বাজার থানা থেকে মেলাঘর থানার সাথে যোগাযোগ করা হয়। এদিনই মেলাঘর থানার পুলিশ অভিযুক্তের এক আত্মীয় বাড়ি থেকে তাকে এবং অপহৃত নাবালিকা সহ দুই বন্ধুকে আটক করে শান্তির বাজার থানার হাতে তুলে দেয়। পরের দিন নাবালিকার জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করা হয়। এই ঘটনার তদন্তকারী মহিলা পুলিশ অফিসার এস আই সীমা রায় মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সহ দীর্ঘ শুনানির পর বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিলোনিয়ার জেলা ও দায়রা বিচারক (স্পেশাল জজ) আশুতোষ পান্ডে। অভিযুক্ত প্রনজিত দেবনাথকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ৫ হাজার টাকা, অনাদায়ে আরো এক মাসের জেল। এছাড়া ৪( দুই) পকসো অ্যাক্ট ২০১২ ধারা অনুসারে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। উভয় ধারার শাস্তি একসাথে চলবে। সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী প্রভাত চন্দ্র দত্ত। দুই বন্ধুকে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।