ধুমধাম করে পিটসবার্গে পেঙ্গুইনের ৪০তম জন্মদিন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-একেবারে বরফের রাজ্যে যাদের বাস,সেই পেঙ্গুইনদের সুমেরু বা কুমেরু অঞ্চলের বাইরে, তাও আবার চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসে প্রতিপালন করার কাজটা সহজ নয়। তবে সেই কাজ সাফল্যের সঙ্গে করে দেখিয়ে দিয়েছে আমেরিকার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিটসবার্গ চিড়িয়াখানা। একেবারে শৈশবাবস্থায় ওই চিড়িয়াখানায় ম্যাকারনি প্রজাতির একটি পেঙ্গুইন নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর থেকে সেখানে তাকে রাখা হয় একেবারে কৃত্রিম বরফের সাম্রাজ্যে। সেই পেঙ্গুইনের নাম দেওয়া হয় ‘মিকি’।পরবর্তী সময়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে একাধিক সময়ে শিরোনামে উঠে আসে এই পেঙ্গুইন।সম্প্রতি মহা ধুমধামে মিকির ৪০তম জন্মদিন উদ্যাপন করলেন পিটসবার্গ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহান্তে মিকি ৪০তম জন্মদিন পার করেছে। উত্তর
আমেরিকায় জীবিত পেঙ্গুইনের মধ্যে মিকির বয়সই সবচেয়ে বেশি। সাধারণত পেঙ্গুইন বেঁচে থাকে ১০ থেকে ১৫ বছর। অ্যাসোসিয়েশন অব জু’স অ্যান্ড অ্যাকুরিয়ামসের তথ্য বলছে, মানুষ ভালোভাবে যত্নআত্তি করলে একটি পেঙ্গুইন সর্বোচ্চ ২৬ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সেখানে মিকি তার জীবনের চল্লিশ বসন্ত পার করল!
১৯৮৪ সালে মিকির জন্ম হয়।২০০৩ সালে সি ওয়ার্ল্ড সান দিয়েগো থেকে মিকিকে পিটসবার্গ চিড়িয়াখানায় আনা হয়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাদের কর্মীরা মিকিকে যে কী পরিমাণ আদর- যত্নে রেখেছেন, তার দীর্ঘ জীবন এই পেঙ্গুইনের দীর্ঘ জীবন তারই ‘সাক্ষ্য’ বহন করছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় ম্যাকারনি পেঙ্গুইন ৪০ বছর পূর্ণ করেছে।সে হচ্ছে উত্তর আমেরিকার -সবচেয়ে প্রবীণ পেঙ্গুইন।একটি পেঙ্গুইনের জীবনের চার দশক পার করা সহজ কথা নয়।’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,পিটসবার্গে মিকির জন্মদিন উদ্যাপন করা হয়েছে।জন্মদিনের সকালে সে সাঁতার কেটেছে। তারপর মাছ, চিংড়ি আর শামুকের সমন্বয়ে বরফ দিয়ে বানানো কেক খেয়ে সে নিজের জন্মদিন সেলিব্রেট করেছে। চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর শানা গে বলেন, ‘আমাদের এই এলাকায় মিকি হচ্ছে একটি রত্ন ও মিষ্টি পেঙ্গুইন। এখানকার সবাই তার যত্ন নেয় এবং সবাই তাকে ভালোবাসে। নতুন দর্শনার্থী দেখলে সে এত সুন্দর করে শব্দ করে, তা আমার পক্ষে ভাষায় বর্ণনা করা মুশকিল।’