অনলাইন প্রতিনিধি :-বিজেপি কে পরাস্ত করার লক্ষ্যে ইন্ডিয়া জোটে থাকার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। ত্রিপুরায় রাজ্য নেতৃত্বে যুবাদের আনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা থেকে দুইজন রাজ্য নেতৃত্বকে পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে আনারও পরামর্শ দিলেন সিপিএম সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দাবি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে পরাস্ত করতে হলে বিরোধী জোটে যেতেই হবে। আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যেই রূপরেখা নিয়েছে সিপিএম। নয়াদিল্লীর হরকিষান সুরজিৎ ভবনে তিনদিনব্যাপী কেন্দ্ৰীয় কমিটির বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির নিরিখে এই সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম।শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত চলা বৈঠকে সিপিএম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাত,বিমান বসু,বৃন্দা কারাত প্রমুখ নেতৃত্বর উপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেছেন পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। রাজ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন রমা দাস, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, অঘোর দেববর্মা প্রমুখ।সিপিএম রাজ্য কমিটি সূত্রে খবর পলিটব্যুরোতে জিতেন-পবিত্রকে শামিলের কথা উঠেছে।তবে কবে নাগাদ তা হবে এখন সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকী গণমুক্তি পরিষদ, সিআইটিইউ রাজ্য কমিটি, শিক্ষক কর্মচারী সংগঠন, খেতমজুর সহ অন্যান্য গণ সংগঠনের দায়িত্বে যুবাদের আনার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রয়োজনে দলের রাজ্য সম্পাদককে সাহায্য করার লক্ষ্যে এক্ষেত্রেও যুবাদের রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ছাত্রযুব সংগঠনের নেতৃত্বে ৪৫ ঊর্ধ্বদের এবং অন্যান্য গণসংগঠন ও রাজ্য নেতৃত্বে ষাটোর্ধ্বদের অব্যাহত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আসন্ন ধনপুর উপভোটে মানিকবাবু যদি পূর্বতন সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তবে ধনপুর, বক্সনগর কেন্দ্রের উপভোটে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও যুবাদের থেকে প্রার্থী করারও পরামর্শ দিয়েছে।সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি।আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে, রাজ্যের উপভোটে এবং ২০২৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যেও ছাত্রযুবদের সামনে এনে রাজপথে নামার নির্দেশ দিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।শুধু তাই নয়, গত বিধানসভা নির্বাচনে তিপ্রা মথার উপর নির্ভর করা এবং তিপ্রা মথাকে বিশ্বাস করা যে ভুল ছিল তাও বৈঠকে স্বীকার করে নিল রাজ্য নেতৃত্ব। তবে রাজ্য নেতৃত্বকে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নৈরাশ্য কাটিয়ে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ার নিদান দিয়েছেন সিপিএমের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব সীতারাম ইয়েচুরি ও প্রকাশ কারাত। শুধু গত নির্বাচনের কাজকর্ম নয় ২০১৮ সাল থেকেই নিজেদের ব্যর্থতার মূল্যায়ন করে শুদ্ধিকরণের অভিযান রাজ্যব্যাপী চালাতে হবে। পাহাড় থেকে সমতলে চলবে প্রত্যেক দিন অভিযান। দুই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই কাজে তরুণ নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নেমে মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জন করার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। এমনকী বাড়ি বাড়ি প্রচার, ঘরোয়া সভা, উঠান সভা, পথসভায় জোর দেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্যরা।এদিকে সিপিএম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সাংবাদিকদের জানান বিরোধী দলগুলির মধ্যে জোট, আসন সমঝোতা ইত্যাদি যা হওয়ার, সেটা হবে রাজ্যস্তরেই।ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও তা কার্যকর হবে। প্রতিটি রাজ্যেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।কেরালায় সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এলডিএফ বনাম ইউডিএফের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা, কংগ্রেস এবং ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি লড়াই করবে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে।বিহারে মহাগঠবন্ধন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। মহারাষ্ট্রে বিকাশ আঘাধি লড়বে বিজেপির বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুতে ধর্মনিরপেক্ষ জোট লড়বে বিজেপি জোটের বিরুদ্ধে। প্রতিটি রাজ্যে ভিন্ন পরিস্থিতি। বিজেপিবিরোধী সর্বাধিক ভোটকে একত্র করাই প্রধান বিষয় ।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…