ভারতের জন্য এবং অবশ্যই একশ ত্রিশ কোটি ভারতবাসীর জন্য দুই সেপ্টেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে । এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের নৌ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রথম দেশীয় বিমানবাহী অত্যাধুনিক রণতরী ‘ আইএনএস বিক্রান্ত ‘ । প্রধানমন্ত্রী মোদি শুক্রবার এই ‘ মেক ইন – ইণ্ডিয়া ’ অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরীর শুভ সূচনা করেন । তথ্য মোতাবেক এটি ভারতের ইতিহাসে নির্মিত সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক যুদ্ধজাহাজ । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন কেরলের কোচি থেকে ভারতের তৈরি বৃহত্তম স্বদেশী বিমানবাহী যুদ্ধহাজাজ ‘ আইএনএস বিক্রান্ত ’ – কে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে , ভারতের আগে মাত্র পাঁচটি দেশ ৪০ হাজার টনের বেশি ওজনের বিমানবাহী যুদ্ধহাজার তৈরি করেছে । ভারতের তৈরি যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তের ওজন ৪৫ হাজার টন । অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজের সূচনা লগ্নে প্রধানমন্ত্রী মোদি এক টুইট বার্তায় বলেছেন , ‘ দেশের প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতার পথে আরও এক কদম । ২ সেপ্টেম্বর ভারতের জন্য ঐতিহাসিক দিন । প্রথম দেশীয় ডিজাইন ও প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী রণতরী ‘ আইএনএস বিক্রান্ত -এর শুভ সূচনা হবে । ‘ কেরলের কোচিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত এই অত্যাধুনিক ফাইটার জেট বহনকারী যুদ্ধজাহাজটি নির্মাণে খরচ হয়েছে কুড়ি হাজার কোটি টাকা ।
এই জাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে । সেই সাথে আরও শক্তিশালী হয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা ও পরাক্রম জানান প্রধানমন্ত্রী । তথ্য অনুযায়ী , এই যুদ্ধজাহাজ তৈরিতে দীর্ঘ তের বছর সময় লেগেছে । ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে আইএনএস বিক্রান্তের নির্মাণ কাজ শুরু হয় । ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে প্রথমবার বিক্রান্তকে জলে নামানো হয়েছিল । এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের বেসিন ট্রায়াল শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে । এরপর চলতি বছরের জুলাই মাসে এটির ট্রায়াল শেষ হয় । ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরই নির্মাণ সংস্থা কোচিন শিপইয়ার্ড আইএনএস বিক্রান্তকে নৌবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে । দুই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদি এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ।
জানা গেছে , এই অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের বিভিন্ন অংশ দেশের ১৮ টি রাজ্যে তৈরি করা হয়েছে । সব মিলিয়ে ৭৬ শতাংশ দেশীয় সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে । এটি তৈরিতে ২১ হাজার টনেরও বেশি বিশেষ গ্রেডের ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে । ২,৬০০ কিলোমিটারের বেশি বৈদ্যুতিক তার এবং ১৫০ কিলোমিটারের বেশি পাইপলাইন ব্যবহার করা হয়েছে । এটির উচ্চতা ৬১.৬ মিটার অর্থাৎ ১৫ তলা ভবনের সমান । দৈর্ঘ্য ২৬২.৫ মিটার । এই জাহাজে রয়েছে ২,৩০০ টি বগি । এই জাহাজটি এক সাথে ৩০ টি যুদ্ধবিমান চালনা করতে সক্ষম । জাহাজে মিগ -২৯ কে ফাইটার জেট এবং কা -৩১ হেলিকপ্টারের একটি বহর মোতায়েন থাকবে । ভবিষ্যতে রাফাল ফাইটার জেটও মোতায়েন করা হবে । এর সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট , অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ৫২ কিলোমিটার । স্বাভাবিকভাবেই ভারতের জন্য এদিনটি ঐতিহাসিক । কেননা , এদিনেই দেশের নৌবাহিনী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ছাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে । এখন থেকে ভারতের নৌবাহিনীর জাহাজে থাকবে নয়া পতাকা । প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে নৌবাহিনীর হাতে অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ‘ আইএনএস বিক্রান্ত ’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর , জলেও ভারতের সামরিক শক্তি দ্বিগুণ হয়েছে । শুধু তাই নয় , ভারত মহাসাগরে চিনের দাদাগিরি এখন অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…