বহুদিন হলো, দেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এর রূপায়ণ, খাদ্য সুরক্ষার আওতায় কারা আসবেন তা নিয়ে জটিলতা চলছে তো চলছেই। বহু গরিব মানুষ খাদ্য সুরক্ষার আওতার বাইরে চলে গেছেন। অথচ উল্টো বহু বিত্তবান ব্যক্তির নাম ঢুকে গেছে এই তালিকায়। আসলে এই দেশে রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কান পাতলেই শোনা যায়, রেশন নিয়ে সাধারণ মানুষের আর্তি।রেশনে সরবরাহ করা খাদ্যসামগ্রীর মান নিয়ে যেমন অভিযোগ ঠেকানো যাচ্ছে না, তেমনি রেশনিং ব্যবস্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বিস্তর গলদ রয়েছে তা সরকার স্বীকার করলেও এর থেকে নিস্তার পাবার জন্য কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে না।
আসলে মানুষকে দুবেলা দুমুঠো অন্ন দেওয়া রাষ্ট্রের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। অথচ সরকারী রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ডিলারদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের পাহাড় দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় দেশবাসীর হাতে সরাসরি রেশন তুলে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেশন কার্ড নিয়ে যেমন দুর্নীতি আছে, তেমনি রেশনসামগ্রী বন্টন করার প্রশ্নেও গণবন্টন ব্যবস্থায় যে নিয়ম কানুন রয়েছে তা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না অনেক রাজ্যেই। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নতুন রেশন নীতি কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক মহলে বিস্তর মতবিনিময় চলছিল।
এবার এই পন্থা প্রকরণ মেনে রাজ্যে রাজ্যে রেশনিং ব্যবস্থা সশরীরে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদলকে সবগুলো রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তরফে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদেরকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে প্রস্তাব দিয়েছে, কেন্দ্ৰীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং সিনিয়র ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের যেন যুক্ত করা হয়। গোটা দেশে একসঙ্গে এই কাজ চলছে এবং আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সারা দেশে এই পর্যবেক্ষণ কাজ শেষ করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যভিত্তিক রিপোর্ট পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার দেশের রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
রাজ্যে রাজ্যে রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে যে পরিদর্শন চলবে তাতে ৩৯ ধরনের বিষয়ের উপর পর্যবেক্ষণ চালাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। এক একটি রেশন দোকানে কতটি কার্ড এবং কত সংখ্যক ভোক্তা আছেন তার সংখ্যা, তাদের অভিজ্ঞতা, রেশনে সরবরাহকৃত পণ্যের গুণমান, খাদ্যশস্য রেশনে কীরকমভাবে সংরক্ষণ করা হয়, রেশন সংগ্রহ করতে গিয়ে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, কিংবা রেশনে পণ্য সরবরাহের সময় কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, রেশন কার্ডে আধার সংযোগ আছে কি না, আঙুলের ছাপ যথাযথভাবে কাজ করছে কি না ইত্যাদি সবকিছুই এই পর্যবেক্ষণে থাকবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, নতুন রেশন নীতি কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা রূপায়ণের আগে প্রয়োজন ছিল গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, মসৃণ করা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। কিন্তু আদৌ কি সেটা বাস্তবে চালু করা সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১ জানুয়ারী থেকে আরও ১ বছরের জন্য গোটা দেশে বিনামূল্যে চাল, গম বিলি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীদিনে মোদি সরকার এই কর্মসূচিকে ‘এক দেশ এক মূল্য এক রেশন’ এই প্রকল্প নাম নিয়ে ২০২৪-এর ভোটের আগে জনমনে বাজিমাত করার চেষ্টা করবে। কিন্তু জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে প্রকৃত ভোক্তারা রেশনে নাম নথিভুক্ত করতে পেরেছেন কি না এবং নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী ধারাবাহিকভাবে বন্টনের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত না করেই এই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ সরকারের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে কতটা সাফল্যের পথ দেখাবে সেটা কিন্তু বড়সড় প্রশ্নের মুখেই আটকে রইল।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…