অনলাইন প্রতিনিধি :-সম্প্রতি কলকাতার ব্রিগেডে ভরা মাঠে জনসভা করলো বামেদের স যুব ব্রিগেড ডিওয়াইএফআই। পশ্চিমবঙ্গে বামেদের কাছ থেকে তৃণমূলের কাছে ক্ষমতা চলে যাবার পর এই প্রথম কলকাতার বুকে ব্রিগেডে এত বড় সভা করলো ডিওয়াইএফআই।আদতে ডিওয়াইএফআইর আড়ালে বামেরাই আসলে শক্তি দেখিয়েছে এই সভার মাধ্যমে। বাম দল সিপিএম বাম যুবাদের ডাকে এই সভায় এতো মানুষের সমাগম দেখে যারপরনাই উৎসাহিত।গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বামেরা ব্রিগেডে সভা করেছিলো।এমনকী ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখেও কংগ্রেস ও আইএসএসেকে নিয়েও সভা করেছিলো বামেরা।কিন্তু কোনও সভাই এত লোক টানতে পারেনি।ফলে স্বভাবতই বামেরা এতে বেজায় উৎসাহিত।কিন্তু ভিড় কি ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হবে?বাম নেতৃত্ব বলছে, এত মানুষের ভিড়কে সংহত করতে হবে।মানুষের কাছে যেতে হবে।হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসবে।এবারের বামেদের ব্রিগেড অন্যদের থেকেও আলাদা।কেননা এই ব্রিগেড সভা ডাকা হয়েছিলো ডিওয়াইএফআইর ইনসাফ যাত্রা শেষে।কোচবিহার থেকে পঞ্চাশদিন আগে শুরু হয়েছিল ডিওয়াইএফআইর ইনসাফ যাত্রা।সেই ইনসাফ যাত্রা শেষে ব্রিগেডে জনসভা ডেকেছিল ডিওয়াইএফআই
বামেদের যুব সংগঠনের মূলত দাবি ছিল কাজের।তারা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ব্রিগেডে যা সাড়া মিলেছে তার রেশ ধরে রেখে বুথ আগলাতে হবে। সিপিএম যে তার স্ট্যাণ্ড বদলেছে তার জানান দিয়েছে ব্রিগেড।এতদিন পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা,কেরলে মূলত সিপিএমের সংগঠন চলতো বুড়োদের ভিত্তি করে।এবারই প্রথম দেখা গেল ব্রিগেডে বুড়োরা বসল মাঠের নিচে। আর মঞ্চে ভাষণ দিলো যুবারা।সতেরো বছর পর ব্রিগেডে বাম যুব সংগঠন সভা করলো।তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার।বাম নেতৃত্ব দাবি করছে, তাদের নতুন পথচলা শুরু হলো।একদা দেশে বামেদের শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল পশ্চিমবঙ্গ।পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বেশি বাম সাংসদ দিল্লী যেতেন।অর্থাৎ দেশে বামপন্থীদের আওয়াজ নিয়ে দেশ কাঁপাতেন পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতারাই।কিন্তু তা আজ অতীত।বামেদের লোকসভা সাংসদ পশ্চিমবঙ্গে এখন শূন্য।তেমনি বিধানসভাও এখন বামশূন্য।সর্বত্রই বামেদের রক্তক্ষরণ।সুতরাং বামেরা যে শেষ হয়ে যায়নি এর প্রমাণ রাখলো সাম্প্রতিক ব্রিগেডের সভা।কিন্তু কী লোকসভায় কি কোনও ছাপ ফেলতে পারবে বামেরা? সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের এবং কংগ্রেসকে কোনও আসন ছাড়া হবে না জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
তাহলে কি ধরে নিতে হবে পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া জোট হচ্ছে না?এর অর্থ বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল আলাদাভাবে লড়াই করবে।তাহলে কী দাঁড়ালো?লাভ হবে কার।তৃণমূল মনে করছে জোট করলে বিজেপির লাভ হবে, আর জোট না করলে তৃণমূলের লাভ হবে।তৃণমূল দ্বিতীয় বিষয়কেই পছন্দ করবে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে জোট দরকার নেই।তাহলে বামেদের জিতে আসা ভীষণ কঠিন।সুতরাং বামেরা ব্রিগেডে যতই মাঠ ভরানো সভা করুক না কেন, ভোটের বাক্সে তা প্রতিফলিত হবে বলে মনে হয় না।ব্রিগেড অন্যদিকে এক অন্য বামকে চিহ্নিত করেছে।চিরাচরিত গণসঙ্গীতের বদলে বামেরা গান গাইল রবীন্দ্রনাথের গান, নজরুলের গান।যে রবীন্দ্রনাথকে একদা বুর্জোয়া কবি বলতেও ছাড়েনি বামমেরা।মঞ্চে ছিল জাতীয় পতাকাও।যে জাতীয় পতাকা অর্থাৎ একদা দেশের স্বাধীনতাকে পর্যন্ত অস্বীকার করতো বামেরা সেই বামেদের যুব ব্রিগেডের সভায় জাতীয় পতাকা থাকল আগাগোড়াই। অর্থাৎ সিপিএম মনেপ্রাণে চাইছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের পাল্টাতে।কেননা একেবারে খাদের কিনারায় দল।বামেদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও সাংসদ নেই। বিধানসভায় বামেদের কোনও প্রতিনিধি নেই।অর্থাৎ চেনা ছকের বাইরে চেনা যাচ্ছে বামেদের।যুব ব্রিগেডের মীনাক্ষী, ধ্রুবজ্যোতিদের আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে সেলিম, সুজনরা।বাম মুব সভায় শোনানো হয়েছে বুদ্ধদেববাবুর বার্তা।সব মিলিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে যে বামেরা এখন যেমন নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে তেমনি দলের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন করতে চাইছে।সেই জানানও যেন দিয়েছে ব্রিগেড।কিন্তু লাখ টাকার প্রশ্ন হলো -এতে আদৌ কতখানি লাভ হবে। লোকসভায় এর কতখানি প্রভাব পড়বে।নাকি খালি হাতেই ফিরতে হবে বামেদের!
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…