নভেম্বরে সাংবাদিকদের স্বীকৃতি, শীঘ্রই ডিএ ঘোষণাঃ সুশান্ত

 নভেম্বরে সাংবাদিকদের স্বীকৃতি, শীঘ্রই ডিএ ঘোষণাঃ সুশান্ত
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

রাজ্যের কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে রাজ্য সরকারের। এই দৃষ্টিভঙ্গির নিরিখেই সরকার সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া পূরণে তৎপর রয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে আড়াইশোর বেশি সাংবাদিককে সরকারী পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ কথা বলে পাশাপাশি জানান, রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের আরেক দফা মহার্ঘভাতা প্রদান করা হবে। এ সংক্রান্ত ঘোষণা করা হবে অচিরেই। ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সম্মেলন ও কর্মশালার দুদিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে অংশ নিয়েছেন মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস। শনিবার রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলার কুঞ্জবনস্থিত শহিদ ভগৎ সিং যুব আবাসে জার্নালিস্টস অ্যাসোর সাধারণ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সাধারণ সম্মেলন ও কর্মশালা চলবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে ভাষণ দিতে গিয়ে তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী জানান, রাজ্য সরকার কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য পেনশনের পরিমাণ বাড়িয়ে মাসিক দশ হাজার করেছে। তিনি জানান, এই প্রকল্প সরলীকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের অন্যান্য দাবি দাওয়া পূরণে সরকার ইতিবাচক ভূমিকা নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, প্রশাসনিক বিভিন্ন জটিলতা অবসানেও তৎপরতা চালিয়েছে সরকার। এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা যথেষ্ট আগ্রহী বলে জানান শ্রী চৌধুরী। এর আগে তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে অনুষ্ঠান মঞ্চে বসিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়। ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাকে অবগত করানো হয় কর্মরত সাংবাদিকদের নানা সমস্যা সম্পর্কে। উল্লেখ করা হয় রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলা সহ বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় টানা দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে কর্মরত বহু সাংবাদিকের সরকারী পরিচয়পত্র নেই। সুনির্দিষ্ট নীতি না থাকায় তারা বঞ্চিত হয়ে আসছেন সরকারী পরিচয়পত্র পাওয়া থেকে। এছাড়া সরকার ঘোষিত পেনশন প্রকল্পের নানা জটিলতা তুলে ধরা হয় অ্যাসোর তরফে। কর্মরত সাংবাদিক ও মালিক পক্ষের সম্পর্ক নিয়ে অবগত করানো হয় মন্ত্রীকে। এরপরই তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সরকারের তরফে তার বক্তব্য জানান। বলেন, কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সরকারের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত অভিজ্ঞতার নিরিখে বেশিরভাগ সাংবাদিককে
সরকারী পরিচয়পত্র তথা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র সাংবাদিকদের দাবি আদায়ের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন। জানান, সেই সঙ্গে অ্যাসোর তরফে নিয়মিত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তার বক্তব্য একাংশ আমলা ও কর্মীদের কারণে প্রশাসনের গতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে। এর কুফল পেতে হচ্ছে সাংবাদিকদেরও। তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী মূলত নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তার ভাষণে। অনুষ্ঠানে সভাপতি মণ্ডলীতে অংশ নেন অ্যাসোর সভাপতি ধ্রুব রঞ্জন সেন সহ দিবাকর দেবনাথ, নারায়ণ পাটারি এবং অসিত বরণ ঘোষ। বার্ষিক সাধারণ সম্মেলন উপলক্ষে উদ্যোক্তাদের তরফে রাজ্যের প্রধান পাঁচজন সাংবাদিককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রদীপ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত, তপন দত্ত, অসিত চক্রবর্তী ও পার্থ সেনগুপ্ত। সাধারণ সম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রায় দুশো সাংবাদিক যোগ দিয়েছেন। সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেছেন অ্যাসোর সাধারণ সম্পাদক সুনীল দেবনাথ। সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করেছেন মোট পনেরো জন সাংবাদিক। রবিবার কর্মশালায় মোট পাঁচজন প্রশিক্ষণ দেবেন। এতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আরও বেশি সাংবাদিক অংশগ্রহণ করবেন বলে অ্যাসোর তরফে আশা করা হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.