অনলাইন প্রতিনিধি :-কিছুদিনের মধ্যেই ধান খেতের উপরে বা আলু খেতের উপরে উড়বে ড্রোন। অথবা অন্য কোনও ফসলের খেতের উপর উড়বে।উড়ে উড়ে স্প্রে করবে তরল সার বা কীটনাশক ওষুধ।যে কাজ এতদিন চাষিরা পিঠে স্প্রে মেশিন ঝুলিয়ে জমিতে হেঁটে হেঁটে করতো, সেই কাজ করবে ড্রোন। একশো শ্রমিকের একদিনের কাজ এক ঘন্টায় ড্রোন করে ফেলবে।
এই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বিদেশে বহু আগেই শুরু হয়েছে।এদেশের বড় রাজ্যগুলিতেও বেসরকারীভাবে ড্রোনের ব্যবহার কৃষিকাজে আরও আগে শুরু হয়।ত্রিপুরায় সরকারী উদ্যোগে কয়েকমাস আগে কয়েকটি ড্রোন কেনা হয়েছিল।দুজন সরকারী কর্তাকে বহি:রাজ্যে পাঠিয়ে ট্রেনিংও করে আনা হয়। কিন্তু চাষির মাঠে ড্রোন উড়তে দেখা যায়নি।
এবার শীঘ্রই দশটি ড্রোন রাজ্যকে দিচ্ছে কেন্দ্র।’নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্পে এই ড্রোনগুলি পাবে রাজ্য। ড্রোনগুলি দেওয়া হবে নির্বাচিত মহিলা স্বসহায়ক দলকে।তারা নির্ধারিত ভাড়ায় চাষির জমিতে সার, কীটনাশক ইত্যাদি স্প্রে করে দেবে। – নমো ড্রোন দিদি প্রকল্পে এমনই নির্দেশিকা রয়েছে।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে রাজ্যে একটি রাজ্যস্তরের কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার। কেন্দ্রের কাছে প্রতি জেলায় দুটি করে ষোলটি ড্রোন দাবি করেছিল রাজ্য। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে মিলেছে আটটি। কোন্ কোন্ স্বসহায়ক দলের হাতে এই আটটি ড্রোন তুলে দেওয়া হবে শুক্রবারের বৈঠকে তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, চাষাবাদে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তার
অঙ্গ এই ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে আমরা প্রতি জেলায় একটি করে ড্রোন দিচ্ছি। এর পরের কিস্তিতে সব ব্লকে বা সব কৃষি মহকুমায় একটি করে ড্রোন দেওয়া হবে। যাতে চাষিরা প্রয়োজনে তাড়াতাড়ি ড্রোন হাতে পেয়ে চাষের কাজে লাগাতে পারে। ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্পে শুধু চাষিরাই উপকৃত হবে এমন নয়, গ্রামীণ এলাকার মহিলাদেরও কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্পের ঘোষণা দেন। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে সারা দেশে ১৪,৫০০টি ড্রোন নামাবে কেন্দ্র। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২৬১ কোটি টাকা।
মূলত মহিলা স্বসহায়ক দলগুলিকে ড্রোন দেওয়া হবে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারী ভর্তুকি থাকবে আশি শতাংশ বা সর্বোচ্চ আট লক্ষ টাকা। ড্রোন মূল্যের অবশিষ্ট কুড়ি শতাংশ বহন করবে স্বসহায়ক দলগুলি। তবে এই কুড়ি শতাংশ অর্থ অন্য কোনও প্রকল্পের মাধ্যমে অনুদান কম সুদে লোন হিসাবে দেওয়ার সংস্থানও রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারবে।
ড্রোন উড়ানোর জন্য দরকার ডিরেক্টর জেনারেল সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট। প্রতিটি স্বসহায়ক দলের একজন করে মহিলা সদস্যাকে
পনেরোদিনের বাধ্যতামূলক ড্রোন পাইলট ট্রেনিং এবং অতিরিক্ত হিসাবে কৃষি উদ্দেশে তরল সার ও কীটনাশক ব্যবহারবিধির ট্রেনিংও দেওয়া হবে। স্বসহায়ক দলের অন্য এক সদস্যাকে বা পরিবারের কোনও সদস্যকে ড্রোনের নানা যান্ত্রিক খুঁটিনাটি বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তিনি ড্রোন অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করবেন। ড্রোন সরবরাহকারী সংস্থা ‘ড্রোন বিক্রির প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত এই ট্রেনিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে কৃষিকাজে শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে সর্বত্র। ড্রোন সেই অভাব অনেকটা পূরণ করবে এবং চাষাবাদে বিরাট সাহায্য করবে এতে কোনও সন্দেহ নেই।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…