নির্বাচনি দামামা বাজতেই নলছড়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক সন্ত্রাস। গতকাল গভীর রাতে নলছড় কিল্লামুড়া এলাকায় সিপিএম ও বিজেপি দলের পরস্পরবিরোধী হামলা, পাল্টা হামলায় দুপক্ষে ১৫ জন অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিপিএমের দুজনকে মেলাঘর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে বোমা নিক্ষেপ, বাড়িঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় গোটা নলছড়জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নলছড়ে সিপিএম বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দেয় গত কয়েকদিন আগে এক জনসভায়। এর কয়েকদিনের মধ্যেই বিজেপি দলের হামলার প্রতিরোধে নামে সিপিএম দল। গতকালের হামলায় সিপিএম দলের দশজন যেমন আহত হয়েছেন, তেমনি পাল্টা হামলায় বিজেপি দলেরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। দুপক্ষই মেলাঘর থানায় অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে।
সংবাদে প্রকাশ, গতকাল গভীর রাত প্রায় ১২টা নাগাদ নলছড় বাজার থেকে এক কিমি দূরে অবস্থিত কিল্লামুড়ায় সিপিএমের সমর্থক উত্তম ঘোষ ও আশিস ভৌমিকের বাড়িতে দা, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় শাসকদলের মদতপুষ্ট কিছু ক্যাডার । বস্তুত তাদের তাণ্ডবে এই দুই পরিবারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বাড়ির প্রায় সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। সন্ত্রাসের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে তারা যেমন আত্মরক্ষা করতে সচেষ্ট হন, তেমনি পাল্টা হামলারও প্রস্তুতি নেন। খবর যায় দলীয় মহলে। প্রতিরোধে নামে সিপিএম ক্যাডাররাও। দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় প্রবল লড়াই, দৌড়ঝাপ, পাল্টা হামলা। মুহূর্তেই কিল্লামুড়া এলাকায় ত্রাসের সঞ্চার হয়। এরই মাঝে নিক্ষেপ করা হয় পরপর তিনটি বোমা। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে নলছড় এলাকা। একটি বোমা আছড়ে পড়ে উত্তম ঘোষের বাড়ির গেটে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নলছড়ের এলাকায়। হামলা ও পাল্টা প্রতিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষে কমবেশি ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে নলছড়ে এক সভায় সিপিএম দলের প্রাক্তন বিধায়ক প্রকাশ্যেই হুমকি দিয়েছিলেন যেকোনও ধরনের সন্ত্রাস মোকাবিলায় সিপিএম প্রস্তুত। বাইক বাহিনী বা বিজেপির যেকোনও সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করতে তারা লড়াই করে যাবেন। সিপিএম দলের সভার পাঁচদিন পর নলছড়ে সন্ত্রাস শুরু করে শাসকদল জানান দিতে চাইল সিপিএমকে নলছড়ের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবে না। দীর্ঘ ৫৮ মাস ঘুমিয়ে থাকার পর সিপিএম নির্বাচনের মুখে জেগে উঠেছে। জনসংযোগ কর্মসূচিতে সিপিএম নলছড়ে জানান দিতে চাইছে তারা হারিয়ে যায়নি। নলছড়ে সিপিএম দলের এই নব উত্থানকে মেনে নিতে নারাজ শাসকদল। গতকাল গভীর রাতে কিল্লামুড়া এলাকায় একপ্রকার তাণ্ডব চলে। দুটি বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র, মোটর বাইক ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে তছনছ করে দেয়। সিপিএম দল প্রতিরোধের চেষ্টা করে। আহত হন দশজন ক্যাডার। এর মধ্যে বাড়ির মালিক উত্তম ঘোষের মাথা ফাটিয়ে দেয় শাসকদলের ক্যাডার বাহিনী। পাল্টা প্রতিরোধে বিজেপি দলেরও ৫/৬ জন আহত হন। তবে কোনও পক্ষেরই আঘাত গুরুতর নয়। শাসক ও বিরোধী বিবদমান দুপক্ষের লড়াইয়ে নলছড়ের রাজনৈতিক অঙ্গনের বাতাস ফের ভারী হয়ে উঠলো। জমি দখলের লড়াইয়ে দুদলই সমানভাবে সক্রিয়।
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০১৮ সালে নতুন নিয়োগনীতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয় সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সস্তায় ভালো গুণমানসম্পন্ন জনঔষধি তথা জেনারিক মেডিসিন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-শান্তিরবাজারে সিনিয়র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হলো জগন্নাথপাড়া প্লে সেন্টার টিম। রবিবার বাইখোড়া ইংলিশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত রাজ্য সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৮৭৮ কোটি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিগত ছয় মাসে ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ২২টি মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে।২০২৪ সালের…