নষ্ট জেনেরেটর, অথচ জ্বালানি খরচ প্রতিমাসে!!!

 নষ্ট জেনেরেটর, অথচ জ্বালানি খরচ প্রতিমাসে!!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন,অমরপুর।। সরকারি মহাবিদ্যালয়ের খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মুল্যবান জেনেরেটর। ফলে অযত্নে অবহেলায় গঙ্গা প্রাপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওই মূল্যবান জেনারেটরটি। আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা বিদ্যুৎ সরবরাহ ট্রিপ করলে ওই জেনেরেটরটি বিদ্যুতের বিকল্প হিসাবে মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ও ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হতো। কিন্ত

বর্তমানে জেনেরেটরটি অকেজো হয়ে খোলা আকাশের নীচে পরে আছে। কেন এইভাবে খোলা আকাশের নীচে মুল্যবান জেনেরেটরটিকে ফেলে রাখা হয়েছে? জানার জন্য অমরপুর অদৈত্য মল্ল বর্মন মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডঃ প্রদীপ কুমার দীপকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব জায়গাতেই জেনারেটর খোলা আকাশের নিচেই থাকে। তাই আমার কলেজেও জেনারেটর খোলা আকাশের নিচেই আছে। এটা তো আমার কোন ব্যাক্তিগত সম্পদ নয়। ঠিক এইভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ বলেন, জেনেরেটরটির একটি ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কোনও কাজ করছেনা। তবে জেনেরেটরটি সারাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফলে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা ওই জেনেরেটর থেকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে কোন পরিষেবাই পাচ্ছেনা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এবং কর্তৃপক্ষ। এমনটাই অভিযোগ ওই মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অধ্যক্ষের রুমের কাছেই জেনেরেটরটি খোলা আকাশের নীচে মাসের পর মাস রোদ বৃষ্টিতে ভিজে অকেজো হয়ে পরে আছে। কিন্ত কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। মজার বিষয় হলো, জেনারেটরটি অকেজো হয়ে পরে থাকলেও মহাবিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে প্রতি মাসেই ওই জেনারেটরের জন্য জ্বালানি তেল ক্রয় করা হচ্ছে বলে মহাবিদ্যালয় থেকে পাওয়া সংবাদে জানা গেছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জেনেরেটর অকেজো হয়ে থাকা সত্ত্বেও বরাদ্দ জ্বালানি যায় কোথায়…?? সমগ্র বিষয়টি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর কর্তৃক যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.