নাইট গার্ডকে খু*ন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার সাত সকালে পানিসাগর থানাধীন উত্তর দেওছড়া ২ নং ওয়ার্ডে রেল লাইনের পাশে ৪৮ বছরের অপু দাস নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুরে। অপু দাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শ্রমিক ছিল। সংস্থাটি রাজ্যে রেললাইনে বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের কাজ করছে। ওই সংস্থার বৈদ্যুতিক তার ও অন্যান্য সামগ্রী পাহাড়ার কাজে নিযুক্ত ছিলো। তার বাড়ি পানিসাগর থানাধীন কৃষ্ণপুর এলাকায়। অপু দাসের এক সহকর্মী জানায় গতকাল সোমবার রাত ৯ টার পর থেকে অপু দাসের মোবাইলে সুইচ অফ ছিল। তারপর রাতে উনার পাশের এলাকায় একই কাজে নিযুক্ত নাইট গার্ড আপডেট দেওয়ার জন্য টর্চলাইট দিয়ে সিগনাল দিলেও, তার কোন সিগনাল পাওয়া যায় নি। তার পরথেকেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রাত ১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত খোঁজা খুঁজি করতে গিয়ে অপু দাসের দুইটি জুতা পাওয়া যায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে। জুতার সূত্র ধরে আশপাশ এলাকা তন্ন তন্ন করে খোঁজাখুঁজির পরও রাতে আর কিছু পাওয়া যায়নি। ভোর পাঁচটার পর রেল লাইনের ৪৭ নম্বার থেকে ৪৮ নম্বর পিলারের মাঝে অপু দাসের রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। অপু দাসের স্ত্রী বীথিকা দাস জানায়, তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। অপু দাসের স্ত্রী বীথিকা দাস জানায় রাত দুইটায় এক সহকর্মীর কাছ থেকে সে খবর পায় যে অপু দাসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার মোবাইল সুইচ অফ রয়েছে। সারারাত্র খোঁজাখুঁজির পর সকালে রেল লাইন থেকে একটু দূরে অপু দাসের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে রাতে এত খোঁজাখুঁজির পরও কেন পাওয়া গেল না তাকে বলে প্রশ্ন তুলেন উনার স্ত্রী । পাশা পাশি অপু দাসের ব্যবহৃত হাত মোজা, মোবাইল, টর্চ, জুতা মৃত দেহ থেকে অনেকটা দুরেই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।এসব দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন এটা পরিকল্পিত খুন? যদিও জিআর পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।