ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
নাক কাটছে ত্রিপুরা পুলিশের!

দৈনিক সংবাদ অনলাইন।। ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে আসামে প্রবেশের পথে আবারো প্রচুর পরিমাণে শুঁকনো গাঁজা উদ্ধার করলো আসাম পুলিশ। এতে করে আবারো ত্রিপুরা পুলিশের কর্তব্যে গাফিলতি ও ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠলো। গত শনিবার (১১ জুন) বিকেল চারটা নাগাদ আগরতলা থেকে গৌহাটি গামী NL02Q/9370 নম্বরের একটি দশ চাকার লরি ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে আসামে প্রবেশ করলে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের পুলিশ নাকা চেকিং পয়েন্টে গাড়িটিকে থামিয়ে তল্লাশি চালায়।

কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা লরির ভিতর থেকে মোট চুয়াত্তরটি প্যাকেটে এক হাজার চার`শ আশি কেজি শুঁকনো গাঁজা উদ্ধার করে। সাথে আটক করা হয় লরি চালক মনোহর আলী (৪৮) কে। পিতার নাম মৃত গুলাম রসুল বাড়ি উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ। এই শুঁকনো গাঁজার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকার মত হবে বলে জানিয়েছেন চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের অফিসার ইনচার্জ নিরঞ্জন দাস। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক লরি চালক জানায়, গাঁজাগুলো মোটা টাকার বিনিময়ে আগরতলা থেকে গুয়াহাটি হয়ে উত্তর প্রদেশে পাচারের কথা ছিল। জানা যায় উত্তর প্রদেশে অবৈধ শুঁকনো গাঁজার বাজার মূল্য ত্রিপুরার চেয়ে চারগুণ বেশী।

শনিবার ধৃত চালকের বিরুদ্ধে পুলিশ এনডিপিএস ধারায় একটি মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। রবিবার তাকে করিমগঞ্জ জেলা আদালতে সোপর্দ করে আসাম পুলিশ। এদিকে ত্রিপুরা পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। আগরতলা থেকে জাতীয় সড়ক ধরে একাধিক থানা এবং নাকা চেকিং পয়েন্ট পেরিয়ে কিভাবে গাঁজা ভর্তি লরি চুরাইবাড়ি গেইট পার হচ্ছে? অথচ সেই লরি আসামে প্রবেশ করতেই আটক হচ্ছে। এতে নাক কাটছে ত্রিপুরা পুলিশের।