অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্যে আবারও পথ অবরোধের দৌলতে নাজেহাল হলেন সাধারণ মানুষ। এমনকী শুক্রবার আচমকা রাজ্যব্যাপী জাতীয় সড়ক অবরোধের জন্য স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ও ছাত্রধারীদের বিপাকে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, শববাহী গাড়ি, রোগী সহ অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকল। পথ অবরোধের খেসারত দিতে হয়েছে রাজ্যের সকল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীদের। এ দিনের পথ অবরোধের সাথে যুক্ত আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে নার্সারি স্কুলের শিশু থেকে শুরু করে তিন মাসের মুমূর্ষু শিশুকে পর্যন্ত রেহাই দেওয়া হল না। ফলে শিশুকে নিয়ে একপ্রকার বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হলেন তার পরিবার। এভাবেই রাজ্যবাসীকে শুক্রবার চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। রেলযাত্রী ও বিমান যাত্রীরা যথাসময়ে বিমানবন্দরে যেতে পারলেন না। অবাক করার বিষয় হল এ দিনের পথ অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল রাজ্য সরকার, আরক্ষা দপ্তর। ফলে যা হওয়ার তাই হল। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এ দিনের পথ অবরোধ আন্দোলনের মাধ্যমেই প্রমাণিত রাজ্য সরকার একটি অংশের কাছে নিরূপায় অবস্থায় রয়েছে।
রোমান স্ক্রিপ্টে ককবরক ভাষায় পরীক্ষার দাবিতে শুক্রবার রাজ্যব্যাপী পথ অবরোধ আন্দোলন করেছে উপজাতি ছাত্র সংগঠন টিএসএফ। যদিও এই জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলনের ঘোষণা এর ১২ ঘন্টা আগেই করেছিল টিএসএফ নেতৃত্বরা। অথচ এই ঘোষণার পরও একপ্রকার শীতঘুমে ছিল রাজ্য সরকার। এমনকী পথ অবরোধ মুক্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে কোনও নির্দেশিকাও রাজ্য সরকারের তরফে ছিল না। তাই পথ অবরোধ চলতে থাকলেও পুলিশ প্রশাসন ছিল নীরব দর্শক বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকারের এই ব্যর্থতার জন্য এ দিন আগরতলার সার্কিট হাউস সংলগ্ন রাজপথ অবরোধে সফল হলেন আন্দোলনরতরা। শুধু তাই নয়, সার্কিট হাউসে পুলিশের ব্যারিকেড গুঁড়িয়ে তারা গোর্খাবস্তি এলাকায়ও পৌঁছে যান। অথচ এ দিন ছিল আইসিএসসি পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে পথ অবরোধের দৌলতে পরীক্ষা ১১টায় শুরু হলেও ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা হলে পৌঁছলেন ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ। এখন তাদের ফলাফল খারাপ হলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকে নিতে হবে বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি জানান অভিভাবকরা। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদেরও একই হাল হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও পর্যন্ত বিধানসভা অধিবেশনে যথাসময়ে পৌঁছতে দিলেন না আন্দোলনকারীরা। রাতের খবর লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, এখনও বহু স্থানে পথ অবরোধ চলছে। এদিকে, রোমান স্ক্রিপ্টে ককবরক ভাষার পরীক্ষার বিষয়টি ত্রিপুরা বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে শুক্রবার উঠলেও এর কোনও সুরাহা হয়নি। তিপ্রা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা এই বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করেন। এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বিধানসভায় বলেন, রোমান স্ক্রিপ্টে ককবরক ভাষার পরীক্ষা বিষয়ে রাজ্য সরকার আন্তরিক। রাজ্য সরকার চাইছে ছাত্রদের সমস্যার নিরসন হোক। এ বিষয়ে আরও ভাবনাচিন্তা ও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, এই শিক্ষাবর্ষে ককবরক ভাষার পরীক্ষার জন্য ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষৎ ও সিবিএসই মিলিয়ে ১৪৭২ জন ছাত্রছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় বসেন ১৩৩৯ জন। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ও তিপ্রা মথার ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মধ্যেও বিষয়টি রয়েছে। তবে এর জন্য প্রথমে ককবরক ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যা এখন পর্যন্ত হয়নি। আর অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত হলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনও বিদেশি ভাষায় ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে রোমান হরফ হল বিদেশি ভাষা। এ জন্য আবার সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এরপর তা আইন সভায় এনে একটি নতুন করে আইন প্রণয়ন করতে হবে। এই ক্ষমতা রাজ্য সরকারের কাছে নেই। এদিকে, রোমান স্ক্রিপ্টে ককবরক ভাষার পরীক্ষা রোমান হরফে এই দাবিতে জিরানীয়া, খোয়াই, শান্তিরবাজার, করবুক, কুমারঘাট, মোহনপুর, বিশালগড়, বিশ্রামগঞ্জ, তেলিয়ামুড়া, সাক্রম, গণ্ডাছড়া, আমবাসা সহ সারা রাজ্যে পথ অবরোধ করছে টিএসএফ। তাদের একটাই দাবি ককবরক ভাষার পরীক্ষা রোমান হরফে দেওয়ার সুযোগ প্রদান করতে হবে। এই দাবির পক্ষে সিদ্ধান্ত না হলে পথ অবরোধ আন্দোলন জারি থাকবে। এই আন্দোলনের জন্য রাজ্যের গ্রাম, পাহাড়, জেলা, মহকুমা সহ রাজ্যের সকল অংশের মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
অনলাইন প্রতিনিধি:- রেগা এবং ১০,৩২৩ ইস্যুতে শুক্রবার উত্তাল হলো বিধানসভা। শাসক এবং বিরোধী সদস্যদের মধ্যে…
অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যের প্রধান সরকারী রেফারেল হাসপাতাল জিবিতে অস্বাভাবিক রোগীর চাপে মেডিসিন বিভাগের (ওয়ার্ডের)…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ক্রয় খরচ কমাতে এবং বিদ্যুৎ ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে শুক্রবার "ডিসকম'স ক্যাপাসিটি বিল্ডিং…
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় বিরোধী দলগুলি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনায়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিনা টেন্ডারে প্রায়পঁয়ত্রিশ লক্ষ টাকার কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়া এবং কাজ সমাপ্তের আগেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধানসরকারী রেফারেল হাসপাতাল জিবির চিকিৎসা পরিষেবার হাল যে ক্রমেই আরও বেহাল দশার…