অনলাইন প্রতিনিধি :-ঘড়ির কাঁটায়
তখন বড়জোর ১০টা। ধীরে ধীরে নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে। আরও প্রায় মিনিট পনেরো পেরোতেই শুরু হয় সাধারণ নাগরিকদের আনাগোনা। আর হবে না-ই বা কেন! দলের পক্ষ থেকে আগে থেকেই প্রচার ছিলো ৯ মার্চ সকাল ১০টায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে চলুন। তারওপর আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সর্বভারতীয় সভাপতি (বিজেপি) জেপি নাড্ডার উপস্থিতি। অনেকেই কাছে থেকে দেখবেন, তাই আসলেনও।এক কথায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস তাঁকে ঘিরে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ১১টা বেজে মিনিট ক’য়েক হবে। মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দরের সামনে অগণিত কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। কেউ-কেউ গানের তালে নাচ, কেউ-বা স্লোগান। মিনিট ক’য়েক এভাবেই চলতে থাকে, আবার থামেও। এরও কিছুক্ষণ বাদে জোর স্লোগান-‘নাড্ডাজিকে ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের পূণ্যভূমিতে স্বাগত-স্বাগত’। অনেকেই ভেবেছিলেন এই বুঝি এসে গেলেন সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা, সভাপতি জেপি নাড্ডা।কিন্তু না। আবার থেমে গেলেন। এভাবেই চললো আরও কিছুক্ষণ। আর চলবে না-ই বা কেন! কথা ছিলো বেলা বারোটায় বিমানবন্দরে পদার্পণ করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ১২টা বেজে ৪০ ছুঁইছুঁই। বিমানবন্দরের লাউঞ্জ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন সস্ত্রীক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।
তাঁকে স্বাগত জানাতে অবশ্য ততোক্ষণে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা থেকে শুরু করে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মণ সহ আরও অনেকেই।পড়ে স্বাগত জানানো শেষে তাদের নিয়ে সোজা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয় ছুটলো স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানের উদ্দেশে।(আস্তাবল) অবশ্য ভিড়ে টইটুম্বুর।মঞ্চে মন্ত্রী রতনলাল নাথের স্লোগান ‘ওয়েলকাম, ওয়েলকাম… নাড্ডাজিকো ওয়েলকাম।’ আরও চললো ‘জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম… নাড্ডাজিকো জয় শ্রীরাম। লামসাগু, লামসাগু… নাড্ডাজিকো লামসাগু।’
তাকে দেখতে এ দিন সকাল থেকেই
ব্যাপক উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনার সাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন জেলা, মণ্ডলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় বাড়িয়ে তুলেন স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান প্রাঙ্গণে। সারিবদ্ধভাবে বাস, জিপ ঠাঁই নেয় রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে, কোথাও আবার হাতেগোনা কিছু ঠাঁই নেয় নাগেরজলা, রাধানগর, চন্দ্রপুর বাসস্ট্যাণ্ডগুলিতে। বেলা ১টার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন জনসভায় সম্বোধন করেন রাজ্যবাসীকে তখন তারাই আবার উলুধ্বনিতে উদ্ভাসিত করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। উচ্ছ্বসিত মন্ত্রী তাই ভাষণের শুরুতেই বাংলায় বলে উঠলেন ‘সবাইকে নমস্কার। কেমন আছেন সবাই? ভালো? ধন্যবাদ।’
বর্তমান বিজেপি শাসিত জোট সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ দিন জনসভাকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র রাজধানী আগরতলা নয়, বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারাও উপস্থিত ছিলেন
স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে।ময়দানমুখো হবার আগে প্রতিটি মণ্ডলের কর্মকর্তারাই নাচে-গানে আর স্লোগানে গা ভাসিয়ে দেন রাজপথে। যে নাচ-গান থেকে বাদ গেলেন না মন্ত্রী রতনলাল নাথ থেকে শুরু করে অনেকেই।বলতে গেলে ঝাঁপ ফেলা দোকানপাট আর যানবাহানশূন্য রাজপথের গোটাটাই এ দিন ছিলো বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দখলে।উচ্ছ্বাসের সাথে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার এভাবেই গা দোলাতে দেখা গেলো তাদের প্রায় সকলকেই।
সূচি অনুযায়ী জনসভার কাজ শেষ হতেই একদিকে যখন ঘরমুখো হতে শুরু করে কর্মী-সমর্থকরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও তখন সোজা সেখান থেকে চলে যান গোমতী জেলার মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের উদ্দেশে। তার সাথে তার স্ত্রী মল্লিকা নাড্ডা, স্বস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রীও সওয়ারি ছিলেন। তড়িঘড়ি সেখানে মায়ের পুজো শেষ করে কর্মকর্তাদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ফের রাজধানী আগরতলায়।কারণ রাতের আগেই যে তাকে উড়তে হবে দিল্লীর উদ্দেশে।
অনলাইন প্রতিনিধি :- অনেক রাতে এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরে বিলম্বিত বিমান যাত্রীরা আবারও যানবাহনের অভাবে চরম…
অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করেছেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের…
রাজা রামমোহন, বিদ্যাসাগর, নবগোপাল মিত্র, কেশবচন্দ্র সেন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বেগম রোকেয়া, প্রমথনাথ চট্টোপাধ্যায়, বাংলার বুকে…
অনলাইন প্রতিনিধি:- মেলাঘরস্থিত মহকুমা হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসক। শুক্রবার বেলা বারোটা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে মহিলা- মা-বোনদের সাথে অনৈতিক আচরণ হলে, এর সাথে জড়িত একজনকেও ছাড় প্রদান…
এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি মুম্বাইয়ের ধারাভি। ৬০০ একর এলাকা নিয়ে তার বিস্তার। সত্তর-আশি বছর ধরে ধারাভি…