নিউ ইয়র্কে ইঁদুরের উৎপাত দেখতে পর্যটকদের ভিড়।

 নিউ ইয়র্কে ইঁদুরের উৎপাত দেখতে পর্যটকদের ভিড়।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

মুম্বাই যেমন ভারতের বাণিজ্য নগরী, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যকে তেমনই বলা হয় বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী। পৃথিবীর সুন্দরতম শহর হিসাবে চিহ্নিত নিউ ইয়র্ক। তাবড় তাবড় ধনকুবেরদের বাস এই শহরে। একই সঙ্গে বাস পৃথিবীর তাবড় জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের। ঝাঁ চকচকে চাকচিক্যে ভরা এই শহরের সুউচ্চ অট্টালিকার ‘জঙ্গল’ দেখতে ভিড় করেন বিশ্বের নানা প্রান্তের পর্যটকেরা। তবে ইদানীং নিউ ইয়র্কের চাকচিক্য দেখতে নয়, এক অদ্ভুত কারণে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।মানুষের এমন উৎসাহের কারণ শহরের ‘মুষিকরাজ।রীতিমতো ইঁদুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে এখানে। রাতের অন্ধকারে শহরের কোণে কোণে ইঁদুরদের দৌরাত্ম্য দেখতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। সুযোগ পেলে তারা ছবি তুলছেন, এমনকী বড় বড় ইমারত পিছনে রেখে ইঁদুরদের সঙ্গে দেদার সেলফিও তুলছেন অনেকে। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরে ইঁদুরের উপদ্রব নিত্য বেড়েই চলেছে। শহর জুড়ে ইঁদুরের দাপাদাপি বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন স্থায়ী বাসিন্দাদের একাংশ। ইঁদুর যে সমস্ত রোগের জীবাণু বহন করে, তা শিশুদের মধ্যে বহন করে, তা শিশু ছড়িয়ে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়। বড়রাও ইঁদুরের বহন করা রোগের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আপাতত ইঁদুর-সমস্যা মেটাতে না পেরে বরং মুষিককূলের দৌরাত্ম্যকে পণ্য হিসাবে ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজে বার করে ফেলেছে নিউইয়র্ক প্রশাসন।শহরে ‘ইঁদুর পর্যটন’ শুরু করে সে দেশের অন্যান্য প্রান্তের সাধারণ মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে এই উদ্যোগের গালভারী একটি নামও দেওয়া হয়েছে— র‍্যাট ট্যুর! মধ্যরাতের পর, ইঁদুর দেখাতে পর্যটকদের শহর ঘোরানো হচ্ছে। শহর জুড়ে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য পর্যটকদের দেখাতে গাইডের ব্যবসাও ফেঁদে বসেছেন নিউইয়র্কের কয়েক জন বাসিন্দা। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও ঘটনা হল, পর্যটকদের ইঁদুর দেখিয়েই মোটা টাকা উপার্জন করছেন তারা। এমনিতে যে কোনও বড় শহরে ইঁদুরের উপদ্রব বেশি হয়। লন্ডন, হংকং, মুম্বাই কোনও শহরই ইঁদুরমুক্ত নয়। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাবে, গত এক বছরে নাকি নিউ ইয়র্কে ইঁদুরের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.