নিউ হাফলঙ পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ চলছে

 নিউ হাফলঙ পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ চলছে
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

লামডিং নয় , আপাতত নিউ হাফলঙ পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । সব কিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলপথে আগরতলা ও বদরপুরের সঙ্গে ফের জুড়তে পারে নিউ হাফলঙ স্টেশন । দৈনিক সংবাদকে একথা জানালেন যোগীন্দর সিং লখড়া । তিনি উত্তরপূর্ব | সীমান্ত রেলের লামডিং বিভাগের ডিআরএম । শ্রী লখড়া টেলিফোনে দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদককে পাহাড়ি রেলপথের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেন । বলেন,পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালোর দিকে । তবে বর্ষণের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ রেলপথ পুনরুদ্ধার ও সংস্কার কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে ।

তাছাড়া লামডিং বিভাগের আরও বেশ কিছু অংশে বন্যার কারণে রেলপথ বিপর্যস্ত হয়েছে । ফলে পাহাড়ি রেলপথ থেকে সাময়িকভাবে লোকবল কমাতে হয় ।এই কারণে উত্তর কাছাড় পাহাড়ঘেরা পাহাড়ি রেলপথের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে । তার উপর সর্বশেষ বন্যাজনিত কারণে শিলচর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । সপ্তাহ খানেক আগে আসামের হোজাই জেলার বিভিন্ন অংশ বন্যার কবলে পড়ে । বানভাসির কারণে জেলা সদর সহ যমুনামুখ – যোগীজ্ঞান , চাপারমুখ সেনচুয়া এলাকায় রেলপথ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । এতে ডিমাপুর , ডিব্রুগড় , তিনসুকিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রেলপথে । বর্তমানে এই অংশে যাত্রী ট্রেন সহ সব ধরনের ট্রেন চলাচল চলবে । তবে তা চলছে গতি নিয়ন্ত্রণ করে । প্রতি ঘন্টায় দশ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করছে বিপর্যস্ত এলাকা দিয়ে । ডিআরএম যোগীন্দর সিং লখড়া এই তথ্য দিয়ে জানান নতুন করে ভারী বর্ষণ না হলে রক্ষা । সেই ক্ষেত্রে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে নিউ হাফলঙ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে । তবে নতুন করে ভারী বর্ষণ হলে এই উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে । এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন খোদ ডিআরএম , লামডিং ।

তিনি জানান তেমন হলে ডিমাহাসাও জেলা সদর হাফলঙ পর্যন্ত কবে ট্রেনের চাকা গড়াবে বলা শক্ত । তিনি বলেন , নিউ হাফলঙ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করা গেলে ধাপে ধাপে বাকি অংশ যুক্ত হবে রেলপথে । শ্রীলখড়া জানান , সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে দিনকয়েকের মধ্যে বদরপুর থেকে নিউ হাফলঙ পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করতে পারে । তবে তার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি । উত্তর কাছাড় পাহাড় ঘেরা পাহাড়ি রেলপথের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দৈনিক সংবাদের তরফে যোগাযোগ করা হয় সব্যসাচী দে – র সঙ্গে । উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী দে দাবি করেন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে বলে । তিনি জানান বিভিন্ন আটকে থাকা মালগাড়ির ওয়াগন অথবা যাত্রী ট্রেনের কোচ উদ্ধার এবং স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে । বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্টেশন থেকে উদ্ধার করে আনা কোচ এবং ওয়াগন এনে রাখা হয়েছে বদরপুর জংশন ও সংলগ্ন স্টেশনে । এর মধ্যে মাইগ্রেনডিসা থেকে আনা জ্বালানি তেলভর্তি বহু ওয়াগন রয়েছে । জানা গেছে রেলের পরিভাষায় ফুল রেক হিসাবে পরিচিত এসব ওয়াগন রাখা হয়েছে বদরপুর জংশন স্টেশনে । এছাড়া ডিমাহাসাও জেলা সদরের স্টেশন নিউ হাফলঙ থেকেও বিপর্যস্ত কোচ , ওয়াগন সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.