ত্রিপুরাকে বিভাজন করে পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনঢ় মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর। বৃহস্পতিবার দিল্লীতে বিজেপির সাথে আলোচনায় বসলেও, গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড নামে পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনঢ় অবস্থান নেওয়ায় বৈঠক শেষ পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়ে যায়।দিল্লী সূত্রে খবর, বৈঠকে ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বিজেপির উত্তর পূর্বাঞ্চলের কর্ডিনেটর দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রা এবং রাজ্য বিজেপির নির্বাচন প্রভারি মহেশ শর্মা। সূত্রের দাবি, রাজ্য ভাগের দাবি পুরণের প্রতিশ্রুতি লিখিতভাবে চাইছে তিপ্ৰা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর। বিজেপি কোনও অবস্থাতেই এই দাবি মেনে লিখিত দিতে রাজি নয়। রাজ্য ভাগের দাবি ছাড়া রাজ্যের জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে এবং এডিসির ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ অন্য যে কোনও দাবি মানতে রাজি বিজেপি। এই ক্ষেত্রে লিখিত দিতেও প্রস্তুত আছে বিজেপি।কিন্তু রাজ্য ভাগ কিছুতেই নয়। এই দর-কষাকষিতে বৈঠক ভেস্তে যায়। শুক্রবার দিনভর প্রদ্যোত কিশোর দিল্লীতে অবস্থান করলেও, এই বিষয়ে কারও সাথে আর কোনও আলোচনা হয়নি। বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে প্রদ্যোত কিশোর সামাজিকমাধ্যমে লাইভে এসে বিজেপির সাথে বৈঠকের কথা স্বীকার মর করে তিনি কী দাবি রেখেছেন,তা নিজেই জানিয়েছেন। সেই সাথে স্পষ্টভাবে বলেছেন,তিনি গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবি থেকে এক চুলও সরে আসতে পারবেন না । কারণ, তিনি তার জাতির সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারবেন না। তার আগে তিনি মরে যাবেন, তাও ভালো। কিন্তু দফার সাথে গদ্দারি করতে পারবেন না। তিপ্রাসারা তার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রদ্যোত কিশোর বিজেপি নেতৃত্বকে তার দাবির কথা জানিয়েছেন। এমন এই দাবির মান্যতা দেওয়া না দেওয়া, বিজেপি নেতৃত্বের উপর। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর দাবির মান্যতা দেবে।
প্রদ্যোত কিশোর আরও বলেন, যদি তার গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবির মান্যতা দিয়ে লিখিত না দেয়, তাহলে তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী একাই লড়াই করবেন। তার এই লড়াই কারোর বিরুদ্ধে নয়,অন্য কোনও জাতি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়। এই লড়াই তিপ্রাসাদের অধিকার আদায়ের লড়াই।এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীন ত্রিপুরা, তিপ্রাল্যাণ্ড,গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড দাবি সাংবিধানিক হয়ে থাকলে- আগামীদিনে গ্রেটার বাঙালিস্তান দাবি উঠলে, সেই দাবিও তো সাংবিধানিক দাবি বলে বিবেচিত হবে। তবে দিল্লী সূত্রে যতটুকু জানা গেছে, প্রদ্যোত কিশোর নিজের কথাতেই নিজে ফেঁসে গেছেন।রাজ্য ভাগ করার দাবি মেনে লিখিত দেওয়ার বিষয়টি তিনি যেভাবে প্রচার করেছেন, জনজাতি ভাবাবেগকে তিনি যেভাবে উসকে দিয়েছেন এবং সেই ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে এডিসির ক্ষমতা দখল করেছেন, এখন তিনি সেখান থেকে সরতে পারছেন না।এখন লিখিত প্রতিশ্রুতি আদায় করতে না পারলে,এই তিপ্রাসারাই তাকে ছুঁড়ে ফেলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। তার দলের অবস্থাও আইপিএফটির মতো হবে। এটা প্রদ্যোত কিশোর ভালো করেই জানেন। বিজেপি সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা কিন্তু শুক্রবার এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন।রেবতী ত্রিপুরাও বলেছেন, প্রদ্যোত কিশোর নিজের কথাতেই নিজে আটকে গেছেন।মোদ্দাকথা, গিলতেও পারছেন না, ফেলতেও পারছেন না। তারপরেও রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাই শেষ পর্যন্ত কী হয়, এখনও স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…
গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…