নিত্যপণ্যের বাজারে অগ্নিমূল্য, নির্বাক দপ্তর

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বর্ধিত চড়া মূল্য কমার কোনও লক্ষণই নেই । বরং হু হু করে লাগাম ছাড়াই বাড়ছে সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য । বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আগুন মূল্যে ক্রেতা সাধারণের দিশাহারা অবস্থায় । গরিব ও নিম্ন আয়ি অংশের মানুষ মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পড়ে ক্রয় ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন -এমনটাই অভিযোগ করছেন তারা । এই অবস্থায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে মহাফাঁপড়ে পড়ছেন । বাজারে এ প্রান্ত থেকে সেই প্রান্তে গিয়ে মূল্য যাচাই করেও গরিব ও নিম্নআয়ি অংশের মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন । আগুন মূল্য যাচাই করে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ছেন । রাজ্য সরকার , প্রশাসন , খাদ্য দপ্তর চড়া মূল্য কমাতে ও যথেচ্ছ মূল্যবৃদ্ধি রোধে কেন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ঘটনা ।

কখনও জাতীয় সড়ক , কখনও ট্রেন লাইনে ধসে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে । এই অজুহাত খাড়া করে একাংশ পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীগণ বাজারে মূল্য আরও মহার্ঘ্য করে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ । কিন্তু সেই ক্ষেত্রেও প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তর মাঝেমধ্যে নামকাওয়াস্তে বাজারে অভিযান করছে । বাজারে নিয়মিত ও সঠিকভাবে ধারাবাহিক প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের অভিযান না থাকায় ও নিত্য মূল্যবৃদ্ধিতে তার প্রভাব পড়ছে । আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বাজারগুলিতে ভোজ্যতেল খুব চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে । একেক বাজারে আবার একেক মূল্যে ভোজ্য তেল বিক্রি হচ্ছে । ইঞ্জিন তেল লিটার ২০০ টাকার নীচে বিক্রি হচ্ছে না । আগরতলায় কোনও কোনও বাজারে মুদির দোকানে আবার খুচরো ব্যবসায়ীরা এক লিটার ইঞ্জিন তেল ২১০ টাকা , ২১৫ টাকায়ও বিক্রি করছে । শুধু ইঞ্জিন তেলই নয় , ফরচুন বা তেলও অন্যান্য ব্র্যাণ্ডের আগরতলার বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন মুদির দোকানে ভিন্ন ভিন্ন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ।

একই হাতের তেলের মূল্য আগরতলার এক বাজারের স্বল্প দূরত্বের সঙ্গে অন্য বাজারের মধ্যে মূল্যের যথেষ্ট ফারাক রেখে ক্রেতা সাধারণের যথেষ্ট পকেট কাটলেও প্রশাসন , খাদ্য দপ্তরের কোনও নজর নেই । যেন প্রশাসন ও দপ্তর নির্বাক । মসুর ডাল ও মুগ ডালের মূল্যও বাজারে চড়া হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে । বাজারে চালের মূল্যেরও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের । মূল্য কত বাড়বে তা ব্যবসায়ীদের উপরই নির্ভর করছে । সেখানে প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তর যেন বোবা । বাজারে আলু , পেঁয়াজের মূল্যও মহার্ঘ । জ্যোতি আলু ও পেঁয়াজের খুচরো মূল্য প্রতি কিলো ৩০-৩৫ টাকা এখনও নেওয়া হচ্ছে । আলু , পেঁয়াজের মূল্যও বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন । জ্যোতি আলু কোনও বাজারে প্রতি কিলো ৩৫ টাকা ও পেঁয়াজ প্রতি কিলো ৪০ টাকায় বিক্রি করে ক্রেতা সাধারণের পকেট কাটা হচ্ছে । বাজারে সবজির মূল্য , মাছ , মাংসের মূল্যও খুব চড়া ।

Dainik Digital

Recent Posts

ট্রাম্প বোমায় ব্যাকফুটে বন্ধু!

মার্কিন অনুদান নিয়ে ট্রাম্পের একের পর এক।বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে ভারতীয় রাজনীতিতে চাপানউতোর এখন তুঙ্গে।ট্রাম্পের এই…

17 hours ago

ধন্যবাদার্হ।।

কোন ও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক কে তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই…

17 hours ago

সুপার সিক্সে ৮ উইকেটের বড় জয় পেলো তরুণ সংঘ।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-আট উইকেটের বড়সড় জয় দিয়েই সিনিয়র মহিলাদের একদিবসীয় আমন্ত্রণমূলক ক্রিকেটের সুপার সিক্সে নিজেদের…

20 hours ago

ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।

অনলাইন প্রতিনিধি :- উড়ান আয়োজিত ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় দিনেও রাজ্যের সাহিত্যপ্রেমী মানুষের উপচে পড়া…

20 hours ago

ট্রাম্প বোমায় ব্যাকফুটে বন্ধু!

মার্কিন অনুদান নিয়ে ট্রাম্পের একের পর এক। মাঘি বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে ভারতীয় রাজনীতিতে চাপানউতোর এখন…

20 hours ago

জিবিতে হচ্ছে না স্থান সংকুলান দফারফা রোগীর, ব্যাহত চিকিৎসা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-জেলা,মহকুমা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দৈন্যদশায় রাজ্যের প্রধান সরকারী হাসপাতাল জিবিতে রোগীর অস্বাভাবিক চাপ…

20 hours ago