নিরামিষ থালি এখন মহার্ঘ্য, নেই গরিবের খাবার!!

 নিরামিষ থালি এখন মহার্ঘ্য, নেই গরিবের খাবার!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-গত এক বছরে ভারতে ভেজিটেরিয়ান থালি বা নিরামিষ থালির দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে।তবে নন- ভেজিটেরিয়ান থালি বা আমিষ থালি বিশেষত চিকেন থালির খরচ ১৩ শতাংশ কমেছে বলে শুক্রবার এক রিপোর্টে জানিয়েছে রেটিং সংস্থা ক্রিসিল।’রোটি রাইস রেট’ বা আরআরআর রিপোর্ট অনুযায়ী,একটি ভেজ থালিতে রুটি, পেঁয়াজ, টম্যাটো ও আলু, ভাত, ডাল, দই ও স্যালাড থাকে। নন-ভেজ থালিতে এই সবই থাকে,শুধু ডালের বদলে চিকেন (ব্রয়লার) দেওয়া হয়। এই নন-ভেজ বা চিকেন থালি তৈরির খরচ কমেছে ১৩ শতাংশ।খাদ্যপণ্যের দামের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রতি বছর প্রকাশিত হয় ক্রিসিল মার্কেট ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিক্সের ‘রোটি রাইস রেট’ রিপোর্ট। সেখানেই দাবি, চাল, ডাল, পেঁয়াজ এবং টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধিই গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় নিরামিষ থালি রান্নার খরচ বেড়েছে।আর এর মূলে রয়েছে শুধু পেঁয়াজ। যার মূল্যবৃদ্ধি ৩৫ শতাংশ। এবছরের জানুয়ারিতে ভেজ থালি তৈরি করার খরচ ছিল ২৮ টাকা।যা গত বছরে জানুয়ারিতে ছিল ২৬.৬০ টাকা।নন- ভেজ থালি তৈরির খরচ গত এক বছরে ৫৯.৯০ টাকা থেকে কমে ৫২ টাকা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই সময়ে সাধারণত আনাজের যে দাম থাকা উচিত তার থেকে অনেকটাই
বেশি রয়েছে।ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ ফোরাম অব ট্রেডার্স’এর সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেছেন, ‘শীতকালে আশা ছিল আনাজের দাম কমবে। কিন্তু তা হয়নি। এখনও ভাল বেগুন ৫০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে।পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা।এক কিলো রসুন ৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে।’ক্রিসিলের রিপোর্ট বলা হয়েছে,টম্যাটো ও পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্যই ভেজ থালি তৈরির খরচ বেড়েছে।গত এক বছরে টম্যাটো ও পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে ২০ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।চাল ও ডালের দামও গত এক বছরে বেড়েছে যথাক্রমে ১৪ শতাংশ এবং ২১শতাংশ।ভেজ থালির দাম বাড়ার অর্থ ২০২৩ সালের জানুয়ারির তুলনায় এবছরের জানুয়ারিতে খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি চড়া ছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে পণ্যের খুচরো দরের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৫২ শতাংশ এবং খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৯৪ শতাংশ।এবছরের জানুয়ারির মূল্যবৃদ্ধির তথ্য আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হওয়ার কথা।গত এক বছরে ব্রয়লারের দাম ২৬ শতাংশ কমার জন্য নন-ভেজ থালি তৈরির খরচ কমেছে।লোকসভা ভোটের আগে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম মূল মাথাব্যথার কারণ।যদিও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বুধবার জানিয়েছেন, দেশে মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি সহনসীমার মধ্যেই রয়েছে, যা আশাব্যঞ্জক ছবি। ফেডারেশন অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেসনের যুগ্ম সম্পাদক তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রের দাম কমার দাবি অর্থহীন।বেগুনের কেজি হয়েছিল ১০০ টাকা। টোম্যাটো উঠেছিল আরও উঁচুতে।তার থেকে এখন হয়তো কিছুটা কমেছে।কিন্তু মরসুমের এই সময়ে যা থাকার কথা তার থেকে অনেক বেশি। একে যদি দাম কমা বলা হয় তা হলে বলার কিছু নেই।’

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.