নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরও অ্যাপেক্সের বৈঠক ডাকলো টিসিএ কর্তারা?

 নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরও অ্যাপেক্সের বৈঠক ডাকলো টিসিএ কর্তারা?
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

উনিশ সেপ্টেম্বর টিসিএর নির্বাচন ঘোষণার পর ইতিমধ্যে নতুন কমিটি গঠনের নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে । কিন্তু টিসিএতে যখন নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে তখন টিসিএর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির অ্যাপেক্সের বৈঠক আদৌ বৈধ কি না ? জানা গেছে , আগামী ঊনত্রিশ সেপ্টেম্বর টিসিএর অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে । ক্রিকেট মহলের দাবি , নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পর কোনও বৈঠক বা কোনও সিদ্ধান্ত বা কোনও ঘোষণা অবৈধ । কিন্তু সূত্রে খবর , টিসিএর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নাকি ঊনত্রিশ সেপ্টেম্বর অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্তও বেশ কিছু ঘোষণা দেবে । তবে প্রশ্ন হচ্ছে , নীতিগত কারণে এই বৈঠক কতটা বৈধ ? কেননা , ইতিমধ্যে টিসিএর নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে । আজীবন সদস্যদের নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষপর্বে । এই সময়ে অবৈধ কমিটি বা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির বৈঠক বা সিদ্ধান্ত নতুন কমিটি গঠনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে তাই উনত্রিশ তারিখের বৈঠক অবৈধ বলে দাবি । এছাড়া , টিসিএর অ্যাপেক্স কাউন্সিলের পাঁচজন সদস্যের যখন সাসপেণ্ড হওয়ার কথা তখন এদের নিয়ে বৈঠক কতটা বৈধ ? শোনা যাচ্ছে , মূলত দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠক । প্রথমত , আঠারো অক্টোবর বিসিসিআইর নির্বাচন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা । বোর্ডের বৈঠকে এতদিন মানিক সাহা গেছেন । এবার কে যাবে ? যেহেতু সতেরো অক্টোবরই টিসিএর নতুন কমিটি হয়ে যাবে সেখানে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির কেউ কীভাবে আঠারো তারিখ বোর্ডের বৈঠকে যাবেন ? সতেরো অক্টোবর যিনি সভাপতি বা সচিব হয়ে যাবেন তাকে বাদ দিয়ে আঠারো তারিখ কে যাবেন । বোর্ডের বৈঠকে । সুতরাং টিসিএর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির পক্ষে আঠারো তারিখের বোর্ডের বৈঠকে প্রতিনিধি ঠিক করা অবৈধ হবে । দ্বিতীয় ঘটনা , পনেরো তারিখ যেহেতু টিসিএর সংবিধান মোতাবেক বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাই নতুন কমিটি না আসা পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত বা টাকা পেমেন্ট আইনত অবৈধ । কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও যুগ্ম সচিব নাকি ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মতো খরচ করার নির্দেশ দিয়েছেন । তবে ভবিষ্যতে আইন আদালতের ভয়ে নাকি কোষাধ্যক্ষ এতে শামিল হতে নারাজ । তাই বিপদ বুঝে সভাপতি ও যুগ্ম সচিব নাকি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যে সমস্ত সিদ্ধান্ত তারা দিয়েছেন তা অ্যাপেক্স কাউন্সিলকে দিয়ে অনুমোদন করিয়ে নিতে চান । উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে আইনি সমস্যা তৈরি হলে সভাপতি , যুগ্ম সচিব বেঁচে যাবেন যা হবে তা অ্যাপেক্স কাউন্সিলের হবে । এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে , পনেরো তারিখ যেখানে টিসিএর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে , যেখানে উনিশ সেপ্টেম্বর নির্বাচন ঘোষণা ও নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে সেখানে উনত্রিশ সেপ্টেম্বর অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক বা বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা কতটা বৈধ এবং আইনি হবে ? তবে এটা স্পষ্ট যে , অ্যাপেক্স কাউন্সিলের কাঁধে বন্দুক রেখে যাবতীয় অবৈধ সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন সভাপতি ও যুগ্ম সচিব ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.