নির্বাচনের নামে প্রহসন বাধা, হুমকির অভিযোগ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালন ক্ষমতা দখলে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে বিরোধের জল উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ালেও, বিরোধ মীমাংসার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতে মামলা চলার পর আদালতের নির্দেশেই পুনরায় টিসিএ-এর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা
করা হয়েছে।এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য উচ্চ আদালতই নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করে দিয়েছে।ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।সেই মতো বুধবার থেকে বিভিন্ন ক্লাব ও মহকুমা থেকে নাম আসা শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এই প্রক্রিয়া।কিন্তু এরই মধ্যে টিসিএ নির্বাচন নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ,বুধবার থেকেই শাসক দলের এক গোষ্ঠীর মদতপ্রাপ্ত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে গেছে টিসিএ- এর অফিস প্রাঙ্গণ।অভিযোগ,ওই গোষ্ঠীর পছন্দের লোক ছাড়া বিভিন্ন ক্লাব ও মহকুমা থেকে আসা অন্য কাউকে টিসিএ অফিসে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।শুধু তাই নয়,বিভিন্ন ক্লাব ও মহকুমাগুলিকে চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।ওই ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী গোষ্ঠী যাদের নাম বলে দিচ্ছে,বিভিন্ন ক্লাব ও মহকুমা থেকে তাদের নামই পাঠানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।টিসিএ-এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩৩ জন হবেন ভোটার।এই ৩৩ জনের মধ্যে ১৪টি স্বীকৃত ক্লাব থেকে আসবেন ১৪ জন। মহকুমাগুলি থেকে আসবেন ১৮ জন আর একজন হলেন টিসিএ-এর আজীবন সদস্য। এই ৩৩ জন থেকেই পরিচালন কমিটি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। এই ৩৩ জনই ভোট দেবেন। অভিযোগ,শাসক দলের প্রভাবশালী গোষ্ঠী নিজেদের পছন্দের লোকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই কৌশল নিয়েছে। শুধু তাই নয়,নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে আদালতের নির্দেশকেও অমান্য করছে বলে অভিযোগ।এখানেই শেষ নয়, শাসক দলের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কয়েকজন যারা নিজেরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তারাই নজিরবিহীনভাবে অন্যদের কাগজপত্র স্ক্রটিনি করছে বলে অভিযোগ।এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের টিসিএ-এর নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।উল্লেখ্য,গত বছরের ২২ জুলাই টিসিএতে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর প্রকাশ্য তাণ্ডব দেখেছে গোটা রাজ্যবাসী।এই ঘটনায় শুধু টিসিএ-এর ঐতিহ্য এবং সুনামই কলঙ্কিত হয়নি, কলঙ্কিত হয়েছে রাজ্যের সুনামও।অভিযোগ, ২২ জুলাইয়ের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছিল,সেই দুষ্কৃতীরাই পুনরায় টিসিএ-এর দখল নিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এই নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।