প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে চলেছে ভারতের আরেক প্রতিবেশী চিন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চিন কার্যত চুপ হয়ে আছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে বেজিং-এর মুখে একটি টু শব্দও নেই। চিনের এই নীরবতা নিয়ে নয়াদিল্লীও চিন্তিত বলে খবর। খবরে আরও প্রকাশ, দুই দেশের মানুষের মধ্যে আদান প্রদানের নামে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। বিশেষ করে বাংলাদেশের কট্টর মৌলবাদী সংগঠন জামায়তে ইসলাম এবং অন্যান্য ইসলামিক সংগঠনের সঙ্গে চিনের মিত্রতা, বিএনপির কিছু গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষস্থানীয় নেতার চিন সফর ঘিরে ব্যাপক জল্পনা চলছে। যদিও গোটা পরিস্থিতির উপর সতর্ক নজর রাখছে ভারত সরকার।
চলতি বছর,অর্থাৎ ২০২৫-এ চিন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী।তাই চিন ২০২৫ সালটিকে দুদেশের মানুষের মধ্যে আদানপ্রদানের বছর বলে ঘটা করে উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে সম্প্রতি অর্থাৎ গত ডিসেম্বরের শেষদিকে বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রদূত এবং চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এশিয় বিষয়ক বিভাগের প্রধানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। বৈঠকের পরই চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ঢাকার সঙ্গে শীর্ষস্তরে আদানপ্রদানে বেজিং পুরোপুরি প্রস্তুত। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে চিন প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চায়। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এই বক্তব্য ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সেদেশে যেভাবে ‘ভারতবিরোধী’ মনোভাব তৈরি হয়েছে, সেভাবে ‘চিন বিরোধিতা’ দেখা বা শোনা যায়নি। এই পরিস্থিতিকেই নিজেদের অনুকূলে কাজে লাগাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেজিং।
সাধারণভাবে দেখলে মনে হয়, পাকিস্তান পুনরায় বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে। বাস্তবে সেটা সঠিক নয়। কেননা, এই সময়ে পাকিস্তানের সেই আর্থিক সামর্থই নেই। আদতে একেবারে নিঃশব্দে আড়ালে চিন বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। খবরে প্রকাশ, বেজিং এখন শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে তরুণদের মধ্যে আদানপ্রদান বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত এখন এই বিষয়ে মাত্রাতিরিক্ত তৎপর। গত ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় চিনের দূতাবাসে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে সমস্ত মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের প্রধান সহ হাসিনা বিরোধী আরও অনেকে।এই অনুষ্ঠানের আগে বিএনপির চার শীর্ষনেতা চিন ঘুরে এসেছেন। এই সংগঠনগুলির একটি প্রতিনিধি দলও সম্প্রতি চিন সফরে যাচ্ছে বলে খবর।অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, গত আগষ্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চিন রহস্যজনক নীরবতা পালন করে চলেছে। বেজিং নিজেকে নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে চাইলেও, আসল উদ্দেশ্য নিঃশব্দে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে শিকড় ছড়িয়ে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। জানা গেছে, বাংলাদেশের উপর চাপ তৈরি করতে চিনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো ছয়শ কোটি ডলারের ঋণ। আগষ্টে সরকার পতনের ঠিক আগেই হাসিনা চিন সফরে গিয়েছিলেন। হাসিনা এই ঋণের একাংশ আর্থিক অনুদান হিসেবে চেয়েছিলেন। চিন প্রাথমিকভাবে মাত্র তেরো কোটি ডলারের মতো আর্থিক অনুদানে রাজি হয়। কিন্তু হাসিনার পতনের পর তা আটকে গেছে। দিল্লীর কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই ঋণের বোঝাকেও চিন হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাবে। খবরে প্রকাশ, সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরির পরে বাংলাদেশ চিন থেকে প্রচুর যুদ্ধাস্ত্রও আমদানি করেছে। অন্যদিকে একই সাথে ভারতকে সীমান্ত নিয়ে নানাভাবে বিব্রত করেই চলেছে চিন। শুধু তাই নয়, আরও নানাভাবে ভারতকে কোণঠাসা করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। যদিও চিনের এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশকে নিয়ে চিনের নয়া কৌশল নেওয়ার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। এক্ষেত্রে বসে নেই ভারত সরকারও। ভারতও পাল্টা কৌশল নিচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহলের দাবি।
ভারত যে একেবারে সহজে ছেড়ে দেবে না তা কিন্তু ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। আর যা কিছুই হোক, চিন ও পাকিস্তান এই দুই দেশকে বিশ্বাস করা আর ক্ষুধার্ত বাঘের খাঁচায় ঢুকে পড়া- একই কথা।তাই ভারতকে আরও সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।প্রস্তুত থাকতে হবে ভারত বিরোধী সমস্ত অশুভ শক্তিকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার জন্য।
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেররাজধানী শহর আগরতলার যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে উড়াল সেতু। শহরের পশ্চিম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যেরসরকারী স্কুলে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ হতেই রাজ্যের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুমের অভিযোগ উঠেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট একটি প্রতীককে ত্রিপুরা সরকারের রাজ্য প্রতীক/লোগো হিসেবে ব্যবহারের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকালই বিজেপির দশটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামে চূড়ান্ত সীলমোহর পড়বে।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নিতে গিয়ে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিয়োরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি) ভুক্ত সাধারণ কর্মচারী…