নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সিপিএম দিশাহীন কংগ্রেস : সুশান্ত।।

 নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সিপিএম দিশাহীন কংগ্রেস : সুশান্ত।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সিপিএম। দূরবিন দিয়েও ভবিষ্যতে আর দেখা যাবে না সিপিএমকে। দিল্লীতে নোটা থেকেও কম ভোট পেয়েছে সিপিএম। মিথ্যা প্রচার করে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে রাজ্যবাসী সিপিএমের অপপ্রচারকে পাত্তাই দিচ্ছে না। রাজ্যবাসী সিপিএমের অপপ্রচারকে পাত্তা না দেওয়ায় রণেভঙ্গ দিয়ে ঘরে ঢুকে গেছে সিপিএমের নেতারা। একই অবস্থা জনবিচ্ছিন্ন কংগ্রেসেরও। দেশে দিশাহীন অবস্থায় চলছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনসহ একের পর এক রাজ্যে গো-হারা হেরে কংগ্রেস নেতারা এখন দিশাহারা। কেন্দ্রীয় জনমুখী বাজেট নিয়ে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও রাজ্যবাসী কংগ্রেসের অপপ্রচারকে পাত্তা দিচ্ছেন না। আগামীদিনেও কেন্দ্রে এবং রাজ্যেও সিপিএম এবং কংগ্রেস কোন দলই আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কেননা গোটা দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছেন বিজেপিই একমাত্র দল যারা দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। রবিবার বিজেপির সদর গ্রামীণ জেলা কমিটির উদ্যোগে গান্ধীগ্রাম স্কুল মাঠে কেন্দ্রীয় বাজেটের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় একথাগুলি বলেন খাদ্য, পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

বিকশিত ভারতের বিকশিত বাজেট জনকল্যাণকারী-জনহিতৈষী পেশ হয়েছে বলে মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানাতেই বিজেপির সদর গ্রামীণ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে উক্ত জনসভার আয়োজন হয়। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী,পশ্চিম জেলার সভাধিপতি বলাই গোস্বামী,প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাস,প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, সদর গ্রামীণ জেলা কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, বিজেপি নেতা তাপস ভট্টাচার্য সহ অনেকে। প্রধান বক্তা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাজটকে নিয়ে সিপিএম-কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের নেতারা বিরোধিতা করছে। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবার ৫০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বাজেট পেশ করেছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি অর্থ বাজেটে ধরা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী-নরেন্দ্র মোদি উত্তর পূর্বাঞ্চলকে -অষ্টলক্ষ্মী ঘোষণা করে স্বচ্ছ নীতিতে উত্তর পূর্বের সবকটি রাজ্যের উন্নয়ন বৃদ্ধি করছে। সিপিএম রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কংগ্রেস-সিপিএমকে ত্রিপুরার মাটিতে এক ইঞ্চিও জায়গা দেওয়া যাবে না। বামফ্রন্ট ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। মোদি সরকার ত্রিপুরার উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করেছে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, জলজীবন মিশনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, কৃষি, গ্রামীণ সড়ক, জাতীয় সড়ক বৃদ্ধি, গ্রাম উন্নয়ন, স্বচ্ছতার সাথে মেধার মর্যাদায় বিভিন্ন সরকারী চাকরি সহ নানা ধরনের প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সিপিএম-কংগ্রেস ঘোলাজলে মাছ ধরতে চেষ্টা করছে। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী তার দীর্ঘ ভাষণে বলেন ২৭ বছর পর দিল্লী প্রদেশ বিজেপি দখল নিয়েছে। আত্মসম্মান নিয়ে দিল্লীর মানুষ বাঁচতে চায় বলেই বিজেপির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছে মানবতা, দেশাত্মবোধ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে রয়েছে। দিল্লীর বিধানসভা ভোটে ২৭ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এবং ভারতীয় জনতা পার্টির অন্য নেতা-মন্ত্রীদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। এবারের বাজেট জনমুখী ও প্রশংসিত বলে জনসভায় বিভিন্ন বক্তারা উল্লেখ করেন। এবারের বাজেট নিয়ে বিজেপি নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার ১২ লক্ষ টাকা ইনকাম ট্যাক্স সরকারী কর্মচারীদের ছাড় দিয়েছে। দিল্লীতে বিজেপি ক্ষমতা দখল করার পেছনে এবারের জনমুখী বাজেট কাজ করেছে। দেশের মানুষের সামনে দিল্লী প্রদেশ দখল করে বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে বাজেট জনমুখী এবং প্রশংসনীয়। রাজ্যের উন্নয়নে ডবল ইঞ্জিন সরকার দ্রুতগতিতে কাজ করছে বলেও মন্ত্রী জানান।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.