নীট পরীক্ষায় কেলেঙ্কারি তদন্ত কমিটির ঘোষণা!!

 নীট পরীক্ষায় কেলেঙ্কারি তদন্ত কমিটির ঘোষণা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-নীট-ইউজি মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তুমুল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।ইতিমধ্যেই গ্রেস মার্কস নিয়ে সরব হয়েছে নীটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। বিতর্কের আবহে শনিবার এনটিএর ডিরেক্টর সুবোধ কুমার সিং জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকায় যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিটি।তবে ভর্তির প্রক্রিয়া এতে থমকে থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। সুবোধ কুমার সিং বলেন, কোনও রকমের অনিয়ম হয়নি।এনসিইআরটি পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন এবং সময় নষ্টের কারণে গ্রেস মার্কস দেওয়ার কারণে কিছু পড়ুয়া বেশ ভালো রেজাল্ট করেছে।নীট দাবি করেছে যে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে সেটার কোনও প্রভাব পড়েনি পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করার মানদণ্ডের উপর।আর ভুক্তভোগী পড়ুয়াদের রেজাল্ট খতিয়ে দেখা হলেও ভর্তি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।১,৫০০-এর বেশি পড়ুয়ার গ্রেস মার্কস পর্যালোচনা করে দেখবে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন হাই পাওয়ার কমিটি।এবার নীটে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী।এতজন পরীক্ষার্থী কীভাবে প্রথম হতে পারে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।বিশেষত হরিয়ানার একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ছয়জন প্রার্থী প্রথম হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ জোরালো হয়ে ওঠে।সেসঙ্গে সময় নষ্টের কারণে ১৫৬৩ জন প্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ায় শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।মেঘালয়,হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, চণ্ডীগড় সহ কমপক্ষে ছয়টি রাজ্যের পড়ুয়াদের সময় নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করা হয়।এনটিএর ডিরেক্টর জেনারেল বলেন,পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বৈঠকে বসেছিল এনটিএর কমিটি।সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।তাতে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন কেন্দ্রে কিছুটা সময় নষ্ট হয়।তাই ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়।এ বিষয়ে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ও আছে।এই গ্রেস মার্কসের কারণে কয়েকজন পড়ুয়ার নম্বর ৭১৮ বা ৭১৯-এ দাঁড়িয়েছে।দেশের মধ্যে মোট ৪৭৫০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।এর মধ্যে ছয়টিতে সমস্যা হয়েছিল। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩,৩৩,২৯৭ জন।গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ। তাছাড়া কাট অব মার্কস বৃদ্ধি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতামূলক চরিত্র এবং উচ্চ পারফরম্যান্সের মানদণ্ডকেই তুলে ধরে।তাই এবার উচ্চ ফলাফল করেছে অনেক পরীক্ষার্থী।তবে বিষয়টিতে – রাজনৈতিক রং লাগতে দেরি হয়নি।আম আদমি পার্টি সুপ্রিম কোর্টের নজরদারির অধীনে সিট কর্তৃক অনিয়মের অভিযোগগুলো তদন্ত করে
দেখার দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেস প্রশ্নপত্র ফাঁস, রিগিং এবং দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে।কংগ্রেস এও অভিযোগ করে যে বিজেপি যুব সমাজকে প্রতারিত করছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।বিভিন্ন মহল থেকে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে।অনেকেরই বক্তব্য হলো, সময় নষ্ট হওয়ার কারণে কিছু পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে তা বাকি পরীক্ষার্থীদের সুযোগ নষ্ট করেছে।তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেন, এই এন্ট্রান্স পরীক্ষা সামাজিক ন্যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী। এমনকী অনেক পরীক্ষার্থীও অনলাইনে এই ফলাফলের বিরোধিতা করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।মহারাষ্ট্র সরকারও এই ফলাফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.