অনলাইন প্রতিনিধি :-বিষয়টি কাকতালীয় কিনা জানা নেই। কিন্তু। যে ভূমি থেকে মোদি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল, যিনি এই সলতে পাকানোর প্রধান কারিগর ছিলেন, সেই নীতীশ গড়েই হতে যাচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের প্রথম প্রচার জনসভা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী তিন মার্চ বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রথম যৌথ জনসভা হতে চলেছে বিহারের পাটনায়। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এটাই হবে বিরোধী জোটের প্রথম জনসভা। এখন পর্যন্ত যতটুকু খবর, তিন মার্চের জনসভায় রাহুল গান্ধীর সাথে মঞ্চে থাকবেন আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব, বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, তিন বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা ও দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তবে ওই জনসভায় অন্য কোনও বিরোধী নেতা-নেত্রী যোগ দেবেন কিনা? তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। যেমন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সপা নেতা অখিলেশ যাদব, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে নেতা এসকে স্ট্যালিন, এরা ওই সভায় থাকবেন কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তাদের উপস্থিতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। এই জনসভা হওয়ার কথা ছিল আরও অনেক আগে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ভোপালে। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ইন্ডিয়া জোটের সেই যৌথ সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন কংগ্রেস নেতা কমল নাথের প্রবল আপত্তিতে জোটের যৌথ জনসভা করা সম্ভব হয়নি। এরপর গঙ্গা-গোমতী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। শক্তিক্ষয় হয়েছে জোটের। সেই অর্থে এখন আর ইন্ডিয়া জোট নেই বললেই চলে। জোটের প্রধান সূত্রধার নীতীশ কুমার নিজেই জোট ছেড়ে পুনরায় বিজেপির হাত ধরেছেন। পশ্চিমবঙ্গেও জোট ধাক্কা খেয়েছে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল একাই লড়বে। বঙ্গে খুব সম্ভবত কংগ্রেস-সিপিএম জোট হতে পারে। সেই সম্ভাবনাই সব থেকে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। এসবের মধ্যেই প্রথমবার প্রকাশ্য সমাবেশ করতে চলেছে বিরোধী জোট।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে রাজ্যে বিরোধী জোট সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে, সেই নীতীশ কুমারের গড় থেকেই সরকারীভাবে প্রথম লোকসভার প্রচার শুরু করতে চলেছে বিরোধী জোট। ওই জনসভা হবে পাটনার গান্ধী ময়দানে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নীতীশের গড়ে কংগ্রেস-আরজেডি এবং বামেরা নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের আপ্রাণ প্রয়াস নেবে। এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। কিন্তু অন্য একটি মহলের দাবি, পাটনার ওই জনসভা ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারে হবে? নাকি বিহারের মহাজোটের ব্যানারে হবে? সেটা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। তবে দিনদিন পরিস্থিতির পরিবর্তনহচ্ছে। কেননা, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সাথে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়ে গেছে। উত্তরপ্রদেশে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস লড়বে ১৭টি আসনে, বাকি আসনে সমাজবাদী পার্টি। দিল্লীতেও আপের সাথে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। দিল্লীতে সাত আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টি লড়বে চার আসনে, কংগ্রেস লড়াই করবে তিন আসনে। আম আদমি পার্টি নয়াদিল্লী, উত্তর- পশ্চিম দিল্লী, পশ্চিম দিল্লী এবং দক্ষিণ দিল্লী আসনে লড়াই করতে পারে বলে খবর। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে দিল্লীর সাতটি লোকসভা আসনই জিতেছিল বিজেপি।তবে দিল্লীতে আপ-কংগ্রেস আসন সমঝোতা হলেও, পাঞ্জাব, গুজরাট, আসাম, গোয়া সহ অন্যান্য রাজ্যে লোকসভা ভোটে একলা চলোর বার্তা দিয়েছে আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল। ফলে সেই অর্থে বিরোধী জোটকে এখনও শক্তিশালী বলে দাবি করা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে এটা ঠিক। শেষ পর্যন্ত জোটের ছবিটা কি দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার।
অনলাইন প্রতিনিধি :-নতুন সিবিআই কর্তা নিয়োগ করতে হবে আর সেই উদ্দ্যেশ্যেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী সিজন ১২ এর পবনদীপ রাজন ৷ উত্তর…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী ১৮ মে দু'দিনের জন্য কেরল সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ সেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-উজ্জ্বয়ন মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিভীষিকাময় আগুন। মন্দিরের উপর থেকে গলগল করে নির্গত হচ্ছে কালো…
অনলাইন প্রতিনিধি :-জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী ওরফে চিন্ময় প্রভুকে নতুন করে আবার হত্যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৬৩ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন অড্রে ব্যাকেবার্গ নামে…