দ্বিতীয়দিন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো হাজারো দর্শক-শ্রোতা!!
নীল কাঁকড়া দমনে কোটি টাকা খরচ করছে ইতালি।

এমনিতে নীল কাঁকড়া খুব সুস্বাদু। তবে একই সঙ্গে ওই কাঁকড়া খুবই আক্রমণাত্মক। নীল কাঁকড়ার চাষে ইতালি প্রথম স্থানে। কিন্তু সেই নীল কাঁকড়ার উপদ্রবেই মাথায় হাত পড়েছে সরকারের। ‘আগ্রাসী’ নীল কাঁকড়া দমন করতে ইতালির সরকার ২.৯ মিলিয়ন ইউরো(২৬ কোটি ৪টাকা)- খরচ করতে চলেছে। কেন এমন সিদ্ধান্ত?সরকারি
সূত্রের ব্যাখ্যা, দেশের হ্রদগুলিতে নীল কাঁকড়ার সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তারা জলাশয়ের মাছ, মাছের ডিম, ঝিনুক-সহ অন্যান্য জলজ প্রাণী খেয়ে ফেলছে। নীল কাঁকড়ার ‘আগ্রাসন’ থামাতে অনেক দিন ধরেই নানা ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে ইতালি। তার পরেও কাঁকড়ার সংখ্যা কমছে না। নীল কাঁকড়ার বাস মূলত আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম অংশে। এত দিন ইতালির অগভীর হ্রদগুলিতে এই প্রজাতির ‘আগ্রাসী’ কাঁকড়া তেমন একটা পাওয়া যেত না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর পরিমাণ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে।সবচেয়ে বেশি বেড়েছে উত্তর ইতালির পো নদীর অববাহিকায়।
এমানুয়েলে রোসেত্তি নামে স্থানীয় এক সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী জানান, এসব নীল কাঁকড়া কম বয়সি প্রায় ৯০ শতাংশ ঝিনুককে খেয়ে ফেলেছে।এর ফলে ভবিষ্যতে ইতালিতে ঝিনুক বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতালির জনপ্রিয় খাবার পাস্তায় ঝিনুক ব্যবহার করা হয়। রোসেত্তি বলেন, ‘শুধু পো নদীর অববাহিকাতেই প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ টন কাঁকড়া ধরা হচ্ছে। তবু কাঁকড়ার সংখ্যা কমছে না, বরং প্রতিদিন বাড়ছে।’ ইতালিতে হঠাৎ এভাবে নীল কাঁকড়া কেন বাড়ল, বিজ্ঞানীরাও এর সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে তাদের ধারণা, হঠাৎ কাঁকড়ার এ-হেন উৎপাতের কারণ হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন। তবে ইতালির ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন অ্যান্ড রিসার্চের সামুদ্রিক সম্পদ বিশেষজ্ঞ সাসা রাইচেবিচ মনে করছেন, জাহাজের নিচের অংশের মধ্যে দিয়ে নীল কাঁকড়া উপকূলে এসেছে। হ্রদগুলিতে কাঁকড়ার উৎপাত দেখতে সম্প্রতি পো নদীর অববাহিকা পরিদর্শনে যান ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো লোলোব্ৰিগিদা।এর পরেই তিনি কাঁকড়া তাড়াতে সরকারের জরুরি তহবিল থেকে ২৯ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করেন। মূলত মৎস্যজীবীদের এই টাকাটা দেওয়া হবে। সেই টাকায় তারা বড় পরিসরে মাছ ধরার অভিযান চালাবে, যাতে কাঁকড়ার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।