নেই এমআরআই মেশিনওচাকরি কেলেঙ্কারি, ইন্টারভিউর পর বাতিল হলো চাকরি প্রক্রিয়া!!

 নেই এমআরআই মেশিনওচাকরি কেলেঙ্কারি, ইন্টারভিউর পর বাতিল হলো চাকরি প্রক্রিয়া!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার সব দিকে সর্বসুবিধাযুক্ত রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহু প্রাচীন সরকারী রেফারেল হাসপাতাল আইজিএমের চিকিৎসা পরিষেবা ও ব্যবস্থাপনায় সুবিধার সংকটে ধুঁকছে।জিবি হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে যাওয়ার পর ২০০৬ সালে আইজিএমকে সেই সময় মেডিকেল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার গাইডলাইন অনুযায়ী স্টেট সিভিল রেফারেল হাসপাতাল করা হয়। আগে মূলত আইজিএমে স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগ, শিশু বিভাগ, চক্ষু বিভাগ,দন্ত বিভাগ, সিডিসি বিভাগ এই পর্যন্ত চালু ছিল।২০০৬ সালে সেই সময় এমসিআইর গাইডলাইন অনুযায়ী ও তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সময় আইজিএমকে সরকারী খাতায়পত্রে ও রেকর্ডে স্টেট সিভিল রেফারেল হাসপাতাল করতে গিয়ে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করতে নতুন করে মেডিসিন বিভাগ, শল্য রোগ বিভাগ, অস্থি রোগ বিভাগ, ইএনটি এইসব বিভাগ চালু করা হয়েছিল।এই রোগ বিভাগগুলির অন্ত: (ইন্ডোর) ও বর্হি (আউটডোর) বিভাগ চালু করা হয়েছিল। সেই কারণে রাজধানীর বুকে অবস্থিত রোগীরা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পরিষেবার ভালো সুবিধা পেতেন।কিন্তু বিস্ময়জনক ব্যাপার হলো চার-পাঁচ বছর যেতে না যেতেই অস্থিরোগ বিভাগ, শল্যরোগ বিভাগ ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেওয়ায় কাজ শুরু করে সেই সময় স্বাস্থ্য দপ্তর। দুটি রোগ বিভাগ প্রায় গুটিয়ে নিয়ে পরিকাঠামোহীন নাম রক্ষার্থে চালু রাখে হাসপাতালের সরকারী খাতায়পত্রে। ইএনটি বিভাগেরও করুণ দশায় নিয়ে যায়। শল্য, অস্থি, ইএনটি এই তিন বিভাগের রোগী ভর্তির জন্য শুধু ৩৫ শয্যার একটি কম্বাইন্ড ওয়ার্ড চালু রাখা হয়েছে। তিন বিভাগের মহিলা ও পুরুষ রোগী ভর্তির জন্য ৩৫ শয্যার কম্বাইন্ড ওয়ার্ড কি করে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলেও রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তর সরকারী স্টেট সিভিল হাসপাতালে চালু রাখা হয়েছে তা নিয়ে রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে এসে তাজ্জব বনে যাচ্ছেন।
শুধু রোগী ও রোগীর আত্মীয় নয়। সকলেই আইজিএমের চিকিৎসা পরিকাঠামোর এই সংকোচিত ও বেহাল দশায় বিস্মিত। বর্তমান রাজ্য সরকার চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নে ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা চালু করার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানালেও আইজিএমের দিকে নজর নেই বলে অভিযোগ। গত সাত বছরেও বর্তমান রাজ্য সরকার আইজিএমের বেহাল ও সংকোচিত চিকিৎসা পরিকাঠামোর কোনও পরিবর্তন করেনি বলে ক্ষুব্ধ রোগীর অভিযোগ। ফলে সেই কারণে রোগীকে জিবি হাসপাতালে ছুটে যেতে হচ্ছে। তাতে জিবিতে কেবল রোগীর চাপ বাড়ছে। আইজিএমে রোগ পরীক্ষার ব্যবস্থা ও পরিকাঠামোও যথাযথ নেই বলেও রোগীর অভিযোগ। রোগ পরীক্ষায় বা রোগ নির্ণয়ে আধুনিক ব্যবস্থা এমআরআই মেশিনও আইজিএমে নেই। বর্তমান রাজ্য সরকার রোগীর চিকিৎসা পরিষেবায় ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানালেও কেন আইজিএমে আজ পর্যন্ত রোগীর রোগ পরীক্ষায় এমআরআই মেশিন ক্রয় করে এনে চালু করতে পারেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা নিয়েও বিস্ময় দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে রোগ পরীক্ষায় ও রোগ নির্ণয়ে এমআরআই মেশিন আইজিএমে না থাকায় প্রচণ্ড বিপাকে ও দুর্ভোগে পড়ছেন।বাধ্য হয়ে রোগীকে নিয়ে আত্মীয়স্বজন জিবিতে নিয়ে যাচ্ছেন রোগ নির্ণয়ে এমআরআই করাতে। সেখানে গিয়েও রোগীর ভিড়ে এমআরআই করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তাতে অসুস্থ রোগীরা পড়েছেন আরও অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। জিবি হাসপাতালে আইজিএমে গাড়ি না মিলায় গাড়ি ভাড়া করে রোগী নিয়ে যাওয়া আসা করতে রোগীর পকেট থেকে প্রচুর টাকা চলে যাচ্ছে। এমনিতেই সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধপত্র, চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটে ওষুধের দোকান থেকে দুর্মূল্যের ওষুধপত্র কিনতে গিয়ে রোগী ও রোগীর আত্মীয়ের অবস্থা আরও জেরবার। যদিও হাসপাতালের তরফে সব সময়ই দাবি করা হয় রোগীরা হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধপত্র ইত্যাদি পাচ্ছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.