অনলাইন প্রতিনিধি :-যানজট মুক্ত রাখতে এবং শহর উন্নয়নে নির্মাণ করা হয়েছিল উড়ালপুল।যে কোনও আধুনিক শহরে উড়ালপুল একটি অতি আবশ্যিক এবং গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার অঙ্গ। কিন্তু আগরতলা শাহরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকা এবং উদাসীন মনোভাবের কারণে, সেই উড়ালপুল ভয়াবহ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে চললেও প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। কোনও ঘটনা ঘটার পর দুই একদিন কিছু দৌড়ঝাঁপ চলে।এরপর আবার যে কে সেই অবস্থা।রবিবার রাতেও আরও একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল আগরতলা স্মার্ট সিটির উড়ালপুল। একটি পালসার বাইক ও একটি নম্বরবিহীন গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী দুই যুবকের। সংঘর্ষ
এতটাই তীব্র ছিল যে, পালসার বাইকটি দুমড়েমুচড়ে যায়। মৃত দুই যুবকের মধ্যে একজন শ্রীনগর থানাধীন আনন্দনগর নিবাসী বিশ্বজিৎ পাল (২৫), আরেকজন খয়েরপুর বলদাখাল মধ্য চাম্পামুড়ার সুবীর দাস (২২)। দুজনই বন্ধু। মৃত বিশ্বজিৎ পালের পিতার বক্তব্য থেকে জানা গেছে, ছেলেকে নতুন স্কুটি কিনে দিয়েছিলেন।সেই স্কুটি যাত্রা করাতে তিন বন্ধু উদয়পুর মাতা বাড়িতে যায়। স্কুটি যাত্রা করিয়ে ফেরার পথে সিদ্ধি আশ্রম এলাকায় আরেক বন্ধুর বাড়িতে যায়। সেখানে তারা রাতে খাওয়াদাওয়া করে। খাওয়াদাওয়া সেরে তিন বন্ধু বাইক ও স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। স্কুটি চালাচ্ছিল এক বন্ধু, বাইকে ছিল দুজন। উড়ালপুলে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই মিলন সংঘ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।তখন উল্টোদিক থেকে একটি নম্বরবিহীন প্রাইভেট কার উড়ালপুল দিয়ে ড্রপগেটের দিকে যাচ্ছিল।দুর্ঘটনার পর দেখা যায় গাড়িটি রঙ সাইডে উড়ালপুলের দেওয়ালের দিকে লেগে আছে। দুর্ঘটনার পর স্কুটিতে থাকা যুবকই তাদের বাড়িতে খবর দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নম্বরবিহীন গাড়িটি কার? চালকই বা কে? পুলিশ তদন্ত করছে বলে খবর।এদিকে উড়ালপুল নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। স্মার্টসিটি আগরতলার এই উড়ালপুলে কোথাও কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। উড়ালপুলে উঠা এবং নামা, কোনও দিকেই সিসি ক্যামেরা নেই।এই উড়ালপুল এখন নেশাখোরদের নিরাপদ জায়গা।রাত নয়টার পর থেকেই উড়ালপুলে গাড়ি, বাইক থামিয়ে মদের আসর চলতে থাকে।গাড়ির ভিতর চলে জম্পেশ মদের ফোয়ারা। শুধু তাই নয়, উড়ালপুল হয়ে উঠেছে সেলফি পয়েন্ট। দিন-রাতে গাড়ি, বাইক, স্কুটি থামিয়ে চলতে থাকে সেলফি তোলা, ছবি তোলার কাজ। এই সব ব্যাপারে কোনও নজরদারি নেই। উড়ালপুলে এসবই নিত্য ছবি। আর গতির কথা বলে লাভ নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উড়ালপুলে কোনও নজরদারি তো দূরের কথা, একজন ট্রাফিক পুলিশ পর্যন্ত দেখা যায় না। রাতে অনেক সময় দেখা যায় উড়ালপুলে ভারী পণ্যবাহী লরি চলাচল করতে।বাধা দেওয়া বা নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেই।সকলেই ঘটনার পর বিবৃতি ও দুঃখ প্রকাশ করে দায়িত্ব সারছে। এক্ষুণি কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা না করলে ভবিষ্যতে আরও ভয়ানক ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামীদিনে এমনও দেখা যেতে পারে, বাইক ও চলন্ত গাড়ি উড়ালপুল থেকে ছিটকে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে গিয়ে পড়ছে।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…