জেদের কাছে হার মানল ব্যর্থতা। অদম্য ইচ্ছাশক্তি এনে দিল সাফল্য। তিনবার অকৃতকার্য হয়েও হতাশ হননি। চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় এল সাফল্য। ইউজিসি নেট পরীক্ষায় বাজিমাত করলেন বঙ্গ তনয়া, আফরুজা খাতুন। কোচবিহারের শীতলকুচি
ব্লকের বঢ়গদাই খোড়া গ্রামের বাসিন্দা
তিনি। বাংলায় একশো শতাংশ নম্বর
পেয়ে সর্বভারতীয়স্তরে প্রথম স্থান দখল করলেন। আফরুজা খাতুন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তার এই সাফল্যে খুশির জোয়ারে ভাসছে গোটা খোড়া গ্রাম। মেয়ের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিবার। আফরুজা এখন শুভেচ্ছা বার্তায়
ভাসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
আবুতাহের কামরুদ্দিন থেকে শুরু করে অধ্যাপক, প্রতিবেশী, বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে। এই ফলাফলে খুশি আফরুজা নিজেও। ফল নিয়ে ‘দৈনিক সংবাদ’কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি
বলেন, ‘পরীক্ষার ফল ভালো হবে, এই প্রত্যাশা ছিলই। কিন্তু এতটা ভালো হবে বলে আশা করিনি’। এরপর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি করে কোনও কলেজে
সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেওয়াই তার অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান আফরুজা। আফরুজার পরিবারে রয়েছেন বাবা-মা ও চার ভাই বোন । তার বাবা হাকিম মিঞা পেশায় কৃষক। দরিদ্র পরিবারের আফরুজা বরাবরই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই কলেজে অধ্যাপনার স্বপ্ন দেখতেন। সেই মতো শুরু হয় পড়াশোনা। ২০১৩ সালে শীতলকুচি কলেজে বাংলা (অনার্স) নিয়ে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে ৫৩.৩৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস গ্র্যাজুয়েট হন। এরপর উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে সুদূর উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে পাড়ি দেন কলকাতায়। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন মাস্টার ডিগ্রিতে। এরপর থেকেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার লড়াই শুরু হয় আফরুজার। দিন-রাত পড়াশোনার মধ্যেই থাকতেন। সারা দিনে ৭-৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। যার ফলও মিলল হাতেনাতে। ২০১৮ সালে ৭১.৮৬ শতাংশ
নম্বর নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি উত্তীর্ণ হন তিনি। এর পর ইউজিসি নেট পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথমবার কোচিংয়ে বসেন আফরুজা। কিন্তু সে বার সাফল্য ছিল অধরা। ফের ২০২০ সালের নভেম্বরে বসেন নেট পরীক্ষায়। সে বারও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এর পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পরীক্ষায় বসেন। তবে তৃতীয়বার মাত্র ১ নম্বরের জন্য অকৃতকার্য হন তিনি। আফরুজার কথায়, ‘দু’বছর
বিএড করছিলাম। সেজন্য প্রস্তুতি খুব
একটা ভালো ছিল না। তাই সফল হইনি’। তবে ভেঙে পড়েননি। তিন তিনবার ব্যর্থ হয়ে বরং তার জেদ আরও বাড়তে থাকে। সাফল্য পেতেই হবে, এই জেদ নিয়ে ফের পড়াশোনা শুরু করেন আফরুজা। নেটের জন্য কোচিং শুরু করেন বাংলা বিভাগের স্কলার হীরক বর্মনের কাছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চতুর্থবারের জন্য ফের নেট পরীক্ষায় বসেন তিনি। অবশেষে দীর্ঘপ্রতীক্ষার অবসান। চতুর্থবারে ধরা দিল সাফল্য। ইউজিসি
নেট পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ১০০ শতাংশ নাম্বার পেয়ে সর্বভারতীয়স্তরে প্রথম হলেন আফরুজা। যা অনন্য নজির বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। ইউজিসি নেট পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবার।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…