আর কয়েকদিন পরই প্লেনারি সেশন হবে ছত্তিশগড়ে। তার আগে হঠাৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট হানা দিয়েছে ছত্তিশগড় কংগ্রেসের অন্দরে। একঝাঁক বিধায়ক, কংগ্রেস নেতা এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবকেও জেরা করা হচ্ছে। সোমবার সব মিলিয়ে ৬০টি স্থানে পৃথকভাবে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, কয়লার উপর ২৫ শতাংশ লেভি আরোপ এবং সেই কয়লাকে বেআইনিভাবে রাজ্যের বাইরে পাচার করার একটি চক্র কাজ করছে ছত্তিশগড়ে। সেই চক্রের মধ্যে রয়েছে সরকারী আমলা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিরা এবং কর্পোরেট ও শিল্পসংস্থা।পাশাপাশি স্বার্থান্বেষী এজেন্টরাও রয়েছেন। এই অবস্থায় ইডি মনে করছে অন্তত ৬০ কোটি টাকার একটি বেআইনি লেনদেন যুক্ত আছে এই গোটা কয়লা পাচার পর্বে। এই সন্দেহ এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতেই তদন্ত দরকার। সেই কারণেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জেরাও করা হচ্ছে।আগামীদিনেও এই তদন্তের স্বার্থে আরও অভিযান চলবে। জেরা জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে। এদিকে এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে চরম রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাগেল বলেছেন, সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। ছত্তিশগড়ে ২০১৮ সালে পরাস্ত হওয়াকে মেনে নিতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি। তাই তিনি বারংবার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে যেভাবে বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করে তাদের অবনত করার,সেই একই ফর্মুলা আবার নেওয়া হয়েছে। আসলে ছত্তিশগড়ে নির্বাচন আসছে। সাধারণ মানুষের থেকে রিপোর্ট পেয়ে মোদি দিল্লীতে বসেই যথেষ্ট আঁচ ও আন্দাজ পেয়েছেন যে, এবারও এই রাজ্যে কংগ্রেসকে মানুষ নির্বাচিত করবেন বিপুলভাবে।কংগ্রেস সরকারের জনস্বার্থবাহী কাজের পাল্লা দিতে পারছে না মোদি সরকারও। বহু চেষ্টা করেও ছত্তিশগড় সরকারের কোনওরকম ত্রুটি ও দোষ কিংবা বিচ্যুতি চিহ্নিত করতে পারেনি মোদি সরকার। তাই এখন একটি মনগড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের দোহাই দিয়ে তারা ময়দানে নেমেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন যে, এভাবে ঠিক ভোটের প্রাক্কালে এই ইডির হানা
আসলে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা মানুষের পাশে আছি। মানুষও আমাদের পাশে আছে।এই পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার আবহে বিজেপি কোথাও নেই। এই রাজ্যে বিজেপির কোনও আস্থাপ্রদানকারী নেতাই নেই। তাই পরাজয় সুনিশ্চিত। অন্যদিকে কংগ্রেসের আগামী সপ্তাহেই এই রাজ্যেই হতে চলেছে প্লেনারি সেশন।সেখানে আসবেন দেশের সব রাজ্য থেকে এআইসিসি প্রতিনিধিরা। যেখানে প্লেনারি সেশন হবে, সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ইডির হানা চলছে, এই বার্তা দিয়ে বস্তুত কংগ্রেসকে অস্বস্তিতেই ফেলতে চায় কেন্দ্র। বাগেল আরও বলেছেন, মোদিজি আদানি গোষ্ঠী নিয়ে নীরব কেন? নাকি আদানি ইস্যুকে সরিয়ে রাখার জন্যই এই ইডির নাটক?
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…