দেশে অষ্টাদশ লোকসভা গঠনের জন্য দুই দফায় ইতিমধ্যেই দে ভোটপর্ব সম্পন্ন হয়ে গেছে।পরবর্তী আরও পাঁচটি পর্যায়ে ভোটপর্ব শেষ হলে ৫৪৩ আসনের নিম্নকক্ষে কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে তার চিত্র জানা যাবে।তবে এই পর্যন্ত দুই দফায় দেশে যে ১৯০ টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, তাতে বিগত ২০১৯ সালের ভোটদানের রেকর্ড থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে এবারের ভোটের হার। প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল শুক্রবার দেশে ভোট পড়েছে ৬২ শতাংশে মতো।২০১৯ সালে দেশে প্রথম দফায় যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়,তখন ভোট পড়েছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ।এবছর ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ভোট পড়েছে দেশে ৬৩ শতাংশ।যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কম। অর্থাৎ দুই দফাতেই একটা জিনিস দেখা যাচ্ছে যে দেশের ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের আগ্রহ কমছে।
দেশে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তৃতীয়বারের জন্য সরকারে ক্ষমতা দখলের জন্য তৎপর।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দীর্ঘদিন ধরে বেশ দৃঢ়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গেই বলে চলেছেন- তৃতীয়বার চারশ পার।অর্থাৎ ৩০৩কে ছাপিয়ে ৪০০ তে গিয়ে নৌকা ভিড়াবে গেরুয়া শিবির।যদিও বিরোধী শিবিরের ইন্ডিয়া জোট এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে মোদির জোট ২০০ কেই ছুতে পারবে না। ৪০০ তো দূর অস্ত। তবে প্রথম দুই দফায় ভোটদানের চিত্র দেখে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই গুঞ্জন বেশ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।প্রথম দফার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দ্বিতীয় দফাতেও যখন দেশে ভোটের হার কম পড়েছে, তখন খুব স্বাভাবিক কারণেই ভোটদানে ভোটারদের এই অনাগ্রহের পেছনে কারণ খুঁজতে ভোেট বিশ্লেষকরা তৎপর হবেন এটা স্বাভাবিক ঘটনা।১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সাত দফার ভোটপর্ব শেষ হবে আগামী ১ জুন। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে অসহ্য গরমে এবং সম্পূর্ণ প্রতিকূল আবহাওয়া সহ বিয়ে সহ বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের কারণে ভোটের উপর কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তবে ভোট বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা,এবারের নির্বাচনে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে টেনে আনার মতো কোনো শক্তিশালী যাদুকাঠি মোদির কাছে নেই।উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদই হোক কিংবা পুলওয়ামার মতো রাষ্ট্রপ্রেমের তাড়নাই হোক কোনওটাই বিগত বছরের মতো এবার শাসকের হাতে নেই আবার এটাও মনে করা হচ্ছে হিন্দু জাতীয়তাবাদে ভর করা আত্মবিশ্বাসী ভোটাররা অতিরিক্ত আত্মপ্রত্যয়ের কারণেই গরমের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে ভোট কেন্দ্রে আসছেন না।ফলে ভোটের হার কমছে। যদিও ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে নিজেই বিভিন্ন জনসভায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকে দিয়েও
ভোটদানের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সামাজিক মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।তার পরেও মানুষের সাড়া কম। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের এই কম উপস্থিতি শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরেই জল্পনা বাড়িয়েছে।তবে ভোট বিশ্লেষকদের একাংশের অভিমত বিজেপির চিন্তার কারণ হলো উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে ভোট কম পড়া।কম ভোটের হার নিয়ে সব মহলেই চুলচেরা বিশ্লেষণ চললেও মোটামুটি সবাই একমত যে, মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে আর তেমন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। যদিও খানিকটা উল্লসিত বিরোধীরা।
তারা বলছেন ‘মোদির লোকঠকানো কৌশল অর্থাৎ ‘ভাওতাবাজি’ মানুষ ধরে ফেলেছে।বেকার সংকট, মূল্যবৃদ্ধি ও দুর্নীতি নিয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত মানুষ।তাই এর ছাপ পড়েছে ভোটে। পরিসংখ্যান বলছে,ভোটের হার কম হলে সরকার বদলে যায়।দেশে লোকসভায় বিগত ১২ টি নির্বাচনের মধ্যে ৫ টি ভোটের হার ছিল সর্বনিম্ন।এই ৫ বারের মধ্যে চারবারই সরকার বদলে গিয়েছিল। আবার বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে বিভিন্ন সময়ে।ভোটের হার কম হওয়ায় বিভিন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেরেছিল।সব মিলিয়ে দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ভোটের গতিপ্রকৃতি যে ব্যতিক্রমী হতে চলেছে, প্রথম দুই দফায় ভোটেই এর ইঙ্গিত মিলেছে।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…