ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
নেশামুক্ত কেন্দ্রে যুবকের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য!!

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি।। খোয়াই গনকি এলাকার একটি নেশামুক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্রে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনা বৃহস্পতিবার দুপুরে। মৃত যুবকের নাম বয়ার দেববর্মা( 20), তার বাড়ি বাচাইবাড়ি এলাকায়। এই পুনর্বাসন কেন্দ্রের দুই যুবক বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত অবস্থায় বয়ার দেববর্মাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত খোয়াই থানায় খবর দেয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
খোয়াই গনকীতে একটি মোটর বাইক সার্ভিসিং সেন্টারের উপরের তলা ভাড়া নিয়ে হেল্প ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি সংস্থা এই নেশামুক্ত কেন্দ্র চালাচ্ছে। এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা থেকে মোট ৪০ জন নেশাগ্রস্ত যুবক বর্তমানে রয়েছে। প্রতিমাসে প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ৬০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা বাবদ। সোসাইটির দাবী, নেশাগ্রস্থ যুবকদের বিভিন্ন ধরনের কাউন্সিলিং ও চিকিৎসার মাধ্যমে নেশায় আসক্ত থেকে সুস্থ করে তুলছেন। এই পুনর্বাসন কেন্দ্রের ইনচার্জ হচ্ছেন জিশান দেববর্মা নামে এক যুবক। যাকে বছর দুয়েক পূর্বে খোয়াইয়ের সিনিয়র পুলিশ অফিসাররা বহু চেষ্টার পর রতনপুর এলাকা থেকে ড্রাগসহ গ্রেফতার করেছিল। সে ছিল ওই এলাকার ব্রাউন সুগারও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রেতা। নেশামুক্ত ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নাম দিয়ে হেল্প ওয়েলফেয়ার সোসাইটি খোয়াইয়ের গনকিতে কি ধরনের কাজকর্ম করছে সে বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং জেলা প্রশাসন একপ্রকার ঘুমে। অভিযোগ রয়েছে, এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে বহু ধরনের অবৈধ কার্যকলাপও হয়ে আসছে। পুনর্বাসন কেন্দ্রের ইনচার্জ জানায়, তুশি দেববর্মা নামে এক জনজাতি মহিলা এটি চালাচ্ছেন। উনার বাড়ি খোয়াই এলাকাতেই।
ঠিক কি কারনে ওই যুবকের মৃত্যু হল সে বিষয়ে হেল্প ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারেনি। তাদের দাবি ওই যুবকটির নাকি শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। খোদ শহরের উপর এই ধরনের নেশামুক্ত ও পুনর্বাসন কেন্দ্র খুলে এক প্রকার লুট বাণিজ্য চললেও প্রশাসন কিছুই জানছেন না। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে খোয়াই জেলার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী নির্মল সরকার পরিষ্কার ভাবে জানান, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এরা কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি। একই রকম ভাবে জেলা প্রশাসন থেকেও অনুমতি পাইনি তারা। তারপরও এই ধরনের অবৈধ ব্যবসায় কোন ধরনের হস্তক্ষেপ নেই পুলিশ ও প্রশাসনের। আগামীকাল মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করা হবে এবং এরপরই প্রকৃত তদন্ত শুরু হবে।
