নয়া আইনে জেল-জরিমানা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে উল্লেখিত প্রশ্নপত্র কার ফাঁস বিরোধী আইন অন্তর্গত গেই নিয়মগুলো কী হবে তা সোমবার জনসমক্ষে আনল কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষার জন্য নিয়ম-নীতি, মানদণ্ড এবং সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রাণ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হলো
জাতীয় নিয়োগ সংস্থা এনআরএ-কে। নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় যে কোনো ধরনের অনিয়ম রুখতে প্রথমবারের এটি মতো আনা জাতীয় কোনো “দ্য পাব্লিক একজামিনেশনস (প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মীনস) অ্যাক্ট ২০২৪” লাগ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই এই আইনের অধীনে প্রযোজ্য নিয়মগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসা হলো। এই নয়া আইনটি ৯ ফেব্রুয়ারী রাজ্যসভায় এবং ৬ ফেব্রুয়ারী লোকসভাস পাস হয়েছিল। ১২ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলটিতে স্বাক্ষর করে একে অনুমোদন প্রদান করেন। এই আইনের লক্ষ্য হলো অন্যান্য পরীক্ষার মধ্যে ইউপিএসসি, স্টাফ সিলেকশন কমিশন অর্থাৎ এসএসসি, রেলওয়েজ, ব্যাঙ্কিং নিয়োগ পরীক্ষা সহ সব ধরনের সরকারী নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন আটকানো। এই আইনের আওতায় যে কোনো ধরনের প্রতারণা, অসৎ উপায় অবলম্বনের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সংস্থান রাখা হয়েছে। যারা প্রতারণার ক্ষেত্রে সংঘবদ্ধ অপরাধে যুক্ত থাকবেন
তাদের ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড সহ সর্বনিম্ন এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। দ্য পাবলিক এগজামিনেশন্স (প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মীনস) রুলস, ২০২৪ সোমবার প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারী পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অন্যান্য সরকারী সংস্থাগুলোকে পরীক্ষার কাজে লাগানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র তৈরি সহ পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেও অন্যান্য সরকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করা যাবে। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনাক্রমে কম্পিউটারভিত্তিক পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নিয়ম-নীতি, মানদণ্ড নির্দেশাবলি তৈরি করবে জাতীয় নিয়োগ সংস্থা এনআরএ। কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে এই কাজ করবে এনআরএ। এর মধ্যে থাকবে সরকারী পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর নিবন্ধীকরণের ক্ষেত্রে একটি মানসম্পন্ন প্রক্রিয়া তৈরি করা। কম্পিউটারভিত্তিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গার সংস্থান এর করা, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে বসার একটি উপযুক্ত পরিবেশ ও লে-আউট তৈরি করা, সার্ভার এবং নেটওয়ার্ক পরিকাঠামোর বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা এবং পরীক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্মের বিশেষত্বগুলো সুচারুভাবে কাজে লাগানো। নতুন নিয়মের আওতায় পরীক্ষা গ্রহণে আগের ও পরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকেও একটি সুনির্দিষ্ট ও স্বচ্ছ ব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। সরকারী চাকরি প্রত্যাশীদের বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনআরএ-কে। এদিকে বিতর্কের মুখোমুখি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এনটিএর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ সিং খারোলাকে। নতুন নিয়মে সরকারী পরীক্ষা সংক্রান্ত ডিউটিতে সরকারী, বেসরকারী, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাঙ্ক, স্বশাসিত সংস্থা এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মরত কিংবা – অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কাজে লাগানো যাবে। এদিকে মেডিকেল এন্ট্রান্স এগ্জাম নিট-ইউজিতে অসদ উপায় অবলম্বনের অভিযোগে নতুন করে আরো পাঁচটি মামলা তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব গ্রহণ করল সিবিআই। এই পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ ইতিমধ্যেই তদন্ত করে দেখছে গুজরাট, রাজস্থান এবং বিহারের পুলিশ। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি গুজরাট, এবং বিহার থেকে একটি করে এবং রাজস্থান থেকে তিনটি মামলা পুনরায় নথিবদ্ধ করেছে নিজেদের এফআইআর-এ। মহারাষ্ট্রের লাতুর থেকেও আরেকটি মামলা পুনরায় নথিবদ্ধ করে তদন্ত করতে পারে সিবিআই। বিহারের মামলাটি বাদ দিলে বাকি চারটি মামলা স্থানীয় আধিকারিক, পরীক্ষক এবং পরীক্ষার্থীদের প্রতারণা নিয়ে করা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকগণ।