পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন ঘিরে নলছড়ে স্বদলীয় রক্তপাত!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-পঞ্চায়েতস্তরে
প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচনে বিদ্রোহের ঢেউ আছড়ে পড়লো নলছড় ব্লকে। বিতণ্ডায় এক বুথ প্রেসিডেন্টকে বেধরক মেরেছে মণ্ডলের যুবমোর্চার এক পদাধিকারী।গুরুতর আহত বুথ সভাপতি কৃষ্ণধন দাস বর্তমানে জিবি হাসপাতালে ভর্তি।নলছড় ব্লকের মনোনীত চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে অশান্তির শুরু।
অন্যদিকে শিবনগর পঞ্চায়েতে প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচনে দলীয় হুইপ অমান্য করে নির্বাচিত সদস্যরা নিজেদের পছন্দমতো প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচন করে নিলো।এনিয়ে শিবনগর গাঁওসভাতেও অশান্তির কালো মেঘ।একে অপরকে দেখে নেবার হুমকিতে উত্তপ্ত শিবনগর গ্রাম। সংবাদে প্রকাশ বৃহস্পতিবার নলছড় ব্লকের পোয়াংবাড়ি গ্রামের প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। গ্রাম সরকারের দুই প্রতিনিধি নির্বাচনে দলীয় হুইপ জারি করার দায়িত্ব পায় নলছড় ব্লকের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত স্বপন দাস ও অন্য একজন।বিকাল তিনটায় পোয়াংবাড়ি পঞ্চায়েতের দুই পদাধিকারী মনোনয়নে যাবার প্রাক্কালে তাদের বাড়িতে হাজির হয় নলছড় মণ্ডলের যুবমোর্চার সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ চৌধুরী। যিনি একদা সিপিএম দলের সক্রিয় সদস্য হিসাবে বহু অনৈতিক কাজের দায়ে অভিযুক্ত। বর্তমানে নব্য বিজেপি হিসাবে নেতৃত্বের কাছাকাছি থেকে প্রচারের আলোয় থাকতে চান। স্বপন দাসকে গাড়ি করে নিয়ে আসেন পোয়াংবাড়ি এলাকায়। প্রোটোকল অনুযায়ী প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচন করেন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা। দলীয় হুইপ জারি করে নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও সেখানে উপস্থিত হয়ে যান নব্য বিজেপি তথা নলছড় মণ্ডলের যুবমোর্চার সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ চৌধুরী।যদিও এই বৈঠকে নির্বাচিত সদস্যরাই কেবলমাত্র উপস্থিত থাকার অধিকারী।দলীয় হুইপ জারি করায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্বপন দাসের প্রশ্রয়ে প্রসেনজিৎ বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। যা দলীয় নীতি বিরোধী। বৈঠক শেষে এর প্রতিবাদ করেন দলের এক বুথ সভাপতি কৃষ্ণধন দাস।
নলছড় ব্লকের ভাবী চেয়ারম্যান তথা পোয়াংবাড়ি পঞ্চায়েতের দুই পদাধিকারী নির্বাচনের বৈঠকে কীভাবে প্রসেনজিৎ চৌধুরী উপস্থিত হলো সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। এই নিয়ে তুমুল হট্টগোলে ব্লকের ভাবী চেয়ারম্যান দলীয় কার্যকর্তাদের কাছে ক্ষমা চান। তারই জের ধরে নব্য বিজেপি যুবমোর্চার প্রসেনজিৎ রাতে বুথ সভাপতির বাড়িতে হামলা করে। বুথ সভাপতিকে বেধরক প্রহার করে। তাকে রক্ষা করতে স্ত্রী ছুটে এলে তারও শ্লীলতাহানি করে এবং গলার হার ছিনতাই করে নেয় বলে মেলাঘর থানায় অভিযোগ। প্রচণ্ড মারে কৃষ্ণধন দাসের পা ভেঙে গেছে, বর্তমানে জিবি হাসপাতালে ভর্তি।
শিবনগর পঞ্চায়েতে দলীয় সিদ্ধান্তমতে প্রধান শিপ্রা ঘোষ ও উপপ্রধান রণজিৎ দেবনাথকে মানতে অস্বীকার করে গ্রামের মানুষ।নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা গ্রামের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সহমত হয়ে দলীয় হুইপ অমান্য করে প্রধান পদে উজ্জ্বলা বিশ্বাস ও উপপ্রধান সুকুমার ঘোষকে মনোনীত করে।সুকুমার ঘোষ পূর্বতন প্রধান।
এবার প্রধান পদ মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যায়।দলের নির্বাচিত সদস্যরা দলীয় হুইপ উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের পছন্দ মতো প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করে।শেষ অবধি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারেনি।শিবনগর গ্রামে দলীয় বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।