পরপর বাতিল বিমান চরম বিপাকে যাত্রীরা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিমান যাত্রীদের দুর্ভোগ ও যন্ত্রণার শেষ নেই।শুধু বিমানের টিকিটেরই আগুন মূল্যের কারণে যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন তাই নয়,পরপর বিমান বাতিলেও যাত্রীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। রবিবার সকালের এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয় দিকের বিমান বাতিল করা হয়েছে।সকাল নয়টা নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ১৮২ আসনের বোয়িং বিমানটি কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছে খবর পান বিমান বাতিল করা হয়েছে।তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিমানযাত্রীরা বিমান সংস্থার কাউন্টারের সামনে চিৎকার চেঁচামেচি সহ তুমুল বিক্ষোভ
শুরু করেন।যাত্রীদের উত্তেজনা দেখে ভয়ে কাউন্টার থেকে সাময়িক সময়ের জন্য বিমানকর্মীরা সরে যান।
সিআইএসএফ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাত্রীদের কোন ভাবে বুঝিয়ে শান্ত করায়। বিমান যাত্রীদের অভিযোগ হলো,বিমান বাতিল করলেও বিমান সংস্থার তরফে আগাম কেন মেসেজে জানানো হয়নি।দীর্ঘক্ষণ বিমান যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখানোর পর শান্ত হন।বাতিল বিমানের আটক যাত্রীদের অন্য বিমান সংস্থার বিমানে কলকাতায় পাঠানো হয়নি।রোগী সহ জরুরি কাজে কলকাতায় যেতে বহু যাত্রী আটকে পড়েন।এদিকে আবার সোমবারও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এই বিমানটি আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয় দিকে বাতিল করা হয়েছে।তিনদিন আগেও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এই বিমানটি বাতিল করা হয়েছিল।ফলে পরপর বিমান বাতিলে যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ কষ্ট যন্ত্রণায় পড়েছেন।পরপর বিমান বাতিলের কারণে উভয় দিকে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী আটকে পড়েছেন।বিমান সংস্থার তরফে আটক যাত্রীদের বলা হয়েছে কেউ যদি টিকিট ক্যানসেল করেন তাহলে সাত দিনের মধ্যে রিফান্ড দেওয়া হবে।আর যারা বিমানে যাতায়াত করবেন তাদের এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অন্যান্য দিনের বিমানে টিকিট রি-বুকিং করে দেওয়া হবে।ততে কোন অতিরিক্ত টাকা লাগবে না।রবিবার ও সোমবার বিমান বাতিলের কারণে মঙ্গলবার থেকে পুনরায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান পরিষেবা শুরু হবে।এদিকে কেন পরপর বিমান বাতিল করা হচ্ছে সেই বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের আগরতলা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, অপারেশনাল রিজনের কারণে বিমান বাতিল করা হচ্ছে। তাকে প্রশ্ন করা হয় অপারেশন রিজনের পুরো ব্যাপারটা কী। তিনি জানান, নানা কারণে বিমান বাতিল হতে পারে। বাতিল বিমানের যাত্রীরা যে অভিযোগ করেন বিমান বাতিলের আগাম কোন মেসেজ তারা মোবাইলে পাননি, সেই বিষয়ে বিমান সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে নয় নভেম্বর মেসেজ পাঠানো হয়েছে যাত্রীদের কাছে। অথচ যাত্রীদের অভিযোগ, বিমান বাতিলের কোন মেসেজ মোবাইলে আসেনি।