বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
পরিকাঠামোগত উন্নয়নে মূল কান্ডারি প্রকৌশলীরাই : মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রকৌশলীরাই হচ্ছেন উন্নয়নের মূল কান্ডারি। দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাথে তুলনা করলে এ রাজ্যের প্রকৌশলীরা কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। রবিবার রাজধধনী আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্রে ত্রিপুরা স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫৫ তম বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন থেকে শুরু করে তা সম্প্রসারণ, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, সেচ, পানীয় জলের সংযোগ, বিদ্যুৎ পরিষেবা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে প্রকৌশলীরা সরাসরিই যুক্ত থাকেন।এক্ষেত্রে তারা তাদের উদ্ভাবনী দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নানা সময়ের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকেন। প্রকৌশলীদের বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এদিন ব্যাপক প্রশংসা করেছেন কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের রাজ্যে জলসেচ ও জল সংরক্ষণের
ক্ষেত্রে প্রকৌশলীরা তাদের উদ্ভাবনী দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন তা-ও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।তার এই পদক্ষেপগুলিই দেশকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে চলেছে। রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, উন্নত আইনশৃঙ্খলা, পর্যটন, ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য উন্নতির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহিঃরাজ্য তথা বিদেশ থেকেও এখন রাজ্যে আগত ভ্রমণকারীরা রাজ্যের এই প্রভূত উন্নয়ন দেখে অভিভূত হচ্ছেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যে কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ নিখুঁতভাবে করাটাই হচ্ছে আসল। উন্নত পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করেই রাজ্যে আগত বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত হন। সার্বিকভাবে তাই উন্নত ও নিখুঁত পরিকাঠামো তৈরিতে প্রকৌশলীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রকৌশলী, চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মীরা দুর্যোগপূর্ণ সময়েও পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিজেদের বিশেষভাবে নিয়োজিত করে থাকেন। তিনি বলেন, রাজধানী আগরতলা শহরে আরও দুটি উড়াল পুল নির্মাণের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রেও প্রকৌশলীদের ইতিবাচক পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারও এদিন বলেন, রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয়। পূর্ত দপ্তরের (সড়ক ও সেতু) মুখ্য বাস্তুকার রাজীব দেববর্মা, ত্রিপুরা স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সত্যব্রত দাস, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সূর্য কুমার দেববর্মা-ও বক্তব্য রাখেন এই অনুষ্ঠানে। এদিন রাজ্যের উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এদিন অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অরবিন্দ শ্রীমা আশ্রম ট্রাস্ট এবং বৃদ্ধাশ্রম আপনাঘরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় মঞ্চে।