দ্বিতীয় বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ডা. মানিক সাহা। সোমবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কার্যালয়ে জয়ী বিধায়কদের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে ডা. সাহাকে পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির জয়ী বিধায়িকা প্রতিমা ভৌমিক ডা. মানিক সাহার নাম প্রস্তাব দেন। তাতে স্বাগত জানান রামপদ জমাতিয়া এবং রতন লাল নাথ। পরবর্তী সময়ে শাসকদলের সব নির্বাচিত বিধায়কগণ তাকে ধ্বনিভোটে স্বাগত জানান। পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে কারোর নামই আলোচনায় আসেনি। বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডা. সাহাকে বিধায়ক দলের নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এ মর্মে ঘোষণা দেন। এ দিন বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রভারি হিসাবে ছিলেন আসামের পরিবহণ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। বৈঠকে বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোর্ডিনেটর সম্বিত পাত্রা, প্রদেশ বিজেপি প্রভারি ডা. মহেশ শর্মা সহ অন্যরা ছিলেন। বিজেপি বিধায়কদের বৈঠকের পর আইপিএফটিও মানিক সাহাকে তাদের নেতা হিসাবে বেছে নেন। আইপিএফটির একমাত্র জয়ী বিধায়ক শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বিজেপির নির্বাচন কার্যালয়ে এসে এ মর্মে জানান। তিনি রাজ্যপালকে লিখিতভাবেও এ মর্মে অবহিত করেছেন।
এদিকে, এ দিন পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচনের পরই প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর নিয়ে পর্যালোচনা হয়। দ্বিতীয় বিজেপি আইপিএফটি সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ উপলক্ষেই আগমী ৮ মার্চ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সাথে দলীয় স্তরেও ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। রাজ্যের সব প্রান্ত থেকেই আসছেন মানুষ। বিজেপির জয়ী এবং বিজিত প্রার্থীগণ সবাই কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিধানসভায় তৎপরতা শুরু করেছেন।এদিকে, মঙ্গলবার বিকালেই রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি শপথগ্রহণের প্রস্তুতি সহ আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করবেন। ডা. মানিক সাহা নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার গঠন নিয়েও তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সাথে শলা পরামর্শ করবেন বলে জানা গেছে।প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর উপলক্ষে আগরতলার এমবিবি এয়ারপোর্ট থেকে বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত রাস্তায় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন, টিপার, বড় বাস, ইট এবং সিমেন্ট বোঝাই গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন আপৎকালীন পরিষেবায় নিযুক্ত যানবাহনের জন্য বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তাগুলি হলো (ক)নারায়ণপুর-নরসিংগড়-রামনগর- গান্ধীগ্রাম বাজার -শালবাগান রাবারবোর্ড – চানমারি (খ) জিবি – ইন্দ্রনগর – ধলেশ্বর – মঠ চৌমুহনী যোগেন্দ্রনগর – বাইপাস। (গ) এডি নগর – বটতলা – ফায়ার সার্ভিস – কের চৌমুহনী – শঙ্কর চৌমুহনী – বড়জলা – ভারতরত্ন হয়ে ময়লাখলা – এমবিবি এয়ারপোর্ট। (ঘ) জিবি – আইএলএস এসডিও চৌমুহনী – নন্দনগর বণিক্য চৌমুহনী – খয়েরপুর।বিবেকানন্দ ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বিশেষ অতিথিগণ ও ব্যাপক সংখ্যা জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। এ জন্য আগরতলার বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জায়গাগুলি হলো লেইক চৌমুহনীর দিকে এসটি কর্পোরেশনের কাছে, শচীন সেতু থেকে লেইক চৌমুহনীর দিকে, রোধজং চৌমুহনী থেকে উত্তর গেট, বোধজং চৌমুহনী থেকে ভুতুরিয়ার দিকে, কাটাখাল থেকে শচীন সেতু, ক্যান্টনমেন্ট রোড থেকে বুদ্ধমন্দির, অভয়নগর পোস্ট অফিস থেকে বুদ্ধমন্দির, উত্তর গেট থেকে রাধানগর। বিজ্ঞপ্তিতে জেলাশাসক জানিয়েছেন, দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী এবং সিপাহিজলা জেলা থেকে যেসব যানবাহন আসবে এগুলি নাগেরজলা স্ট্যাণ্ড (এলএমভিএস/বাস), গান্ধীঘাটের রাস্তার পশ্চিমদিক (এলএমভিএস/ বাস), এলএমভিএস) নেতাজী স্কুল মাঠ (এলএমভিএস/ বাস), ধলাই, ঊনকোটি জেলা ও উত্তর ত্রিপুরা জেলায় এবং তেলিয়ামুড়া, জিরানীয়া, রাণীরবাজার থেকে যেসব গাড়িগুলি আসবে সেগুলি আইএসবিটি চন্দ্রপুর (এলএমভিএস/ বাস), পুরোনো কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে আশ্রম চৌমুহনী রাস্তার দক্ষিণাংশে (এলএমভিএস), ক্ষুদিরাম বসু ইংলিশ মিজিয়াম স্কুল মাঠে (এলএমভিএস) দাঁড়াবে।খোয়াই জেলা ও সদরের উত্তরাংশ থেকে আসা যানবাহনগুলি নেহরু পার্ক (এলএমভিএস / বাস), সিধাই ক্রসিং-এ দাঁড়াবে। এরপর শ্রোতারা নেহরু পার্ক- মূর্তি প্রাঙ্গণ বুদ্ধমন্দির – রাধানগর – রাধামাধব মন্দির – লেইক চৌমুহনী এসটি কর্পোরেশন – ডিমসাগর – দেবলোক হসপিটাল পথ ধরে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আসবেন।যোগেন্দ্রনগর রেল স্টেশন থেকে আসা বাসগুলি মঠ চৌমুহনী থেকে গান্ধীস্কুল এবং এলএমভিএসগুলি ক্ষুদিরাম বসু স্কুল মাঠে দাঁড়াবে। বাস/ এলএমভিএস’র ক্ষেত্রে আইজিএম চৌমুহনী থেকে ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, আইজিএম চৌমুহনী থেকে ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী, উনাকান্ত মাঠ, রাধানগর থেকে উত্তর গেট, উত্তর গেট থেকে কাটাখাল, শচীন সেতু থেকে ভুতুরিয়া পর্যন্ত কোনও পার্কিং এলাকা থাকবে না। পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরই সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্যর সাথে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা সরকার গঠনের দাবি জানান। রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাতের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন ত্রয়োদশ বিধানসভার বিজেপি দলের বিজয়ী প্রার্থীগণ। ছিলেন আইপিএফটির জয়ী একমাত্র প্রার্থী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াও। এদিন বিজেপি আইপিএফটির বিজয়ী প্রার্থীদের সাথে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য,বিজেপির রাজ্য প্রভারী ডা. মহেশ শর্মা, বিজেপি উত্তর পূর্বাঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর সম্বিত পাত্রা, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিন্হা সহ অন্যরা ছিলেন।
ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…
গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…