ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম এ বছর বর্ষা মরশুমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।এরকমই খবর। মনে হচ্ছে বিদ্যুৎ নিগম হঠাৎ করে জেগে উঠেছে। বর্ষা যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে তা কি জানে না রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম? মন্ত্রীবাহাদুর যতই বিদ্যুৎ নিয়ে আশার কথা শুনান না কেন, আসলে বিদ্যুৎ নিগম এখনও আপ টু দ্য মার্ক হয়ে ওঠতে পারছে না। খোদ শহর ও শহরতলিতেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা এখনও সুনিশ্চিত করতে পারছে না নিগম। গ্রামেগঞ্জে, মফসসলের কথা তো বাদই দিন। বিদ্যুৎ নিগম মুখে যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন, আসলে কথার সাথে তাদের কাজের বড়ই অমিল। বিদ্যুৎ নিগম এখন লাভজনক সংস্থা। কর্পোরেট অফিস ঝাঁ চকচকে। বড় বড় সব আধিকারিক। দামি দামি গাড়ি চড়েন তারা। কিন্তু নীচুতলার কর্মীদের অবস্থা কী। এখনও নানা পরিকাঠামোগত সমস্যায় ভোগেন নিগমের নীচুতলার কর্মীরা। ডিভিশন, সাবডিভিশন অফিসগুলিতে নিজেদের কর্মীর পাশাপাশি আউটসোর্সিং কর্মী দিয়ে কাজ চালাচ্ছে নিগম।
বর্ষার সময় ঝড়বৃষ্টি লেগেই থাকে রাজ্যে। প্রতি বছরই রাজ্যে বর্ষা মরশুমে গড়ে প্রায় ১১০০-১২০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। চৈত্র-বৈশাখ মাসে কালবৈশাখীও হয়। খবরে প্রকাশ বিদ্যুৎমন্ত্রী এক বৈঠক করে বর্ষায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। তার এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু এই বৈঠকটি কি আরও আগে করা গেছিল না। বর্ষা দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এবার বর্ষা তাড়াতাড়ি আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বর্ষার সময় ঝড়, বৃষ্টি এ রাজ্যের নিত্যদিনের অভ্যাস। বারকয়েক ঘূর্ণিঝড়, ঘূর্ণাবর্ত ইত্যাদি তো রয়েছেই। সেই নিরিখে অন্তত ফেব্রুয়ারী-মার্চ থেকেই এর প্রস্তুতি নেওয়া দরকার ছিল। রাজ্যে বিদ্যুৎ নিগমের বহর বেড়েছে। বাম আমলেই এটি বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে নিগমে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি একটি লাভজনক সংস্থা।কিন্তু পরিষেবা কি সেই তুলনায় আপ টু দ্য মার্ক?শহর, শহরতলিতে শুধু বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উপর জোর দিলে চলবে না। গ্রামেগঞ্জে, মফসসলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার উপর জোর দিতে হবে। গ্রামেগঞ্জে যদি একবার বর্ষায় বিদ্যুৎ যেতে পারে তাহলে তো খোদায় মালুম কখন বিদ্যুৎ আসবে। তা অনেক সময় দুই-তিনদিনও সময় নেয়। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। কল সেন্টারে কল করে বেশিরভাগ সময়ই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। গ্রামগঞ্জের মানুষ তো চট করে সাবডিভিশন অফিসে যেতে পারে না। ফলে তাদের বিদ্যুতের জন্য হাঁপিত্যেশ করা ছাড়া গত্যান্তর নেই। বিদ্যুৎ মন্ত্রী বৈঠকে গতবারের ভয়াবহ বন্যার কথা উল্লেখ করেছেন। গত বছর বন্যায় বিদ্যুৎ নিগমও বিপর্যস্ত হয়েছে। বহু ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়েছে, বিদ্যুৎ সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এটা ঠিক। সেজন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি দরকার। মন্ত্রী বর্ষায় আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করেছেন। বিদ্যুৎ বরাবরই অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা। এখানে কর্মী, আধিকারিকদের জরুরি কাজ লেগেই থাকে। তবে যেটা বলার তা হলো বিদ্যুৎ নিগমের প্রাক্ বর্ষার মেরামতির কাজে অনেক আগে থেকেই হাত দেবার দরকার ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে কয়ে আসে না। কিন্তু নিগম কেন প্রস্তুতি নেবে না। শুধু ছুটি বাতিল করে কিছু হবে না। নিগমকে আধুনিক হতে হবে। কর্পোরেট অফিস শুধু আধিকারিকদের এসি ঘরে বসার জন্য নয়। কাজেও কর্পোরেট হতে হবে নিগমকে। মানুষ বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল থাকুক, নিরবচ্ছিন্ন থাকুক এর নিশ্চয়তা চায়। একাজেও নিগমকে কর্পোরেট কালচার আনতে হবে। শুধু রাজধানীমুখো পরিষেবা দিলে চলবে না। রাজধানীকে আলো ঝলমলে রেখে মফসসল, গ্রামগঞ্জকে অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখলাম- এই অভ্যেস, ভাবনা নিগমকে ত্যাগ করতে হবে।বিদ্যুৎ নিগম মানুষকে সাথে নিয়ে পরিষেবা দিক- এটাই কাম্য।
অনলাইন প্রতিনিধি :-কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে উড্ডয়নের পরই বিমানের একটি চাকা খুলে পড়ে যায়।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবার হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির নয়া জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল লন্ডন হাইকোর্ট।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবার পুলিশ ও ডিআরজির একটি দল খাল্লারি থানার অন্তর্গত চামেদা গ্রামের জঙ্গল থেকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ২রা ডিসেম্বর থেকে শুরু করে দীর্ঘ প্রায় ছ'মাসের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হলো…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহের অপসারণ চাইল ভারতীয় সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবার।…
অনলাইন প্রতিনিধি:-ফের পথে নামলেন বাংলাদেশের পড়ুয়ারা। পুনরাবৃত্তি হল আট মাস আগের ছবি। যেমন ভাবে হাসিনার…