পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাজ্য পাচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা: সুশান্ত!!

 পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাজ্য পাচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা: সুশান্ত!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছে ত্রিপুরা ট্যুরিজম দপ্তরকে।সোমবার নয়াদিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন দপ্তরের ক্যাবিনেট মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সাথে সাক্ষাৎ করে ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের চলমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত করিয়ে পর্যটন দপ্তরের তরফ থেকে রাজ্যের পর্যটনের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোের্ট (ডিপিআর) তুলে দেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটনের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। সাক্ষাৎ পর্বে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সাথে পর্যটন দপ্তরের সচিব ও অধিকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী রাজ্যের পর্যটন শিল্পের জন্য একশ পঞ্চাশ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন বলে জানান পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মতো পাল্টে যাচ্ছে উত্তর জেলার পর্যটন ক্ষেত্র জম্পুই পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে পর্যটক পরিষেবা। ইতিমধ্যে ভাংমুনে পাঁচ তালা আন্তর্জাতিক মানের টুরিস্ট লজ-এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় পঁচাত্তর কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমাস্থিত পর্যটন শিল্পের উন্নত করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি মহকুমায় নতুন টুরিস্ট লজের নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে ইডেন টুরিস্ট লজকে আন্তর্জাতিক মানের থ্রি স্টার টুরিস্ট লজ করার প্রস্তুতি চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ডা. মানিক সাহা ও পর্যটন মন্ত্রী হিসাবে সুশান্ত চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যের পর্যটন শিল্প অনেক এগিয়ে গেছে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা ও পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী উত্তর জেলার জম্পুই পাহাড়ের পর্যটন শিল্পকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন দপ্তরও রাজ্য সরকারকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। সোমবার রাজ্যের পর্যটনের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার আরও ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছে ত্রিপুরা ট্যুরিজম দপ্তরকে। গোটা রাজ্যের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে
ট্যুরিজম হাব হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। রাজ্যের শৈল শহর জম্পুই পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের ব্যাপক উন্নতি করেছেন বলে সেখানের লুসাই বাসিন্দাদের অভিমত। অচিরেই মিজোরাম ত্রিপুরার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এতে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। শুধু জম্পুই পাহাড়ে নয় গোটা রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাজ্যের পর্যটন দপ্তর অত্যন্ত আন্তরিক। বিশেষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সক্রিয় সহযোগিতা পর্যটন মন্ত্রী রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য একটা রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। পর্যটন মন্ত্রী রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বিকাশের স্বার্থে রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। কয়েকমাস আগে পর্যটন মন্ত্রী জম্পুই ও ফেস্টিভ্যালে এসে একটা রোডম্যাপ তৈরি করে গেছেন। উল্লেখ্য, পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যুগে যুগে পর্যটকরা মুগ্ধ হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে এ সৌন্দর্যের লীলাভূমি জম্পুই পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা অপরিসীম। রাজ্যে স্বল্প আয়তনের পর্যটন ক্ষেত্র হলেও বিদ্যমান পর্যটক আকর্ষণের যে বৈচিত্র্য তা সহজেই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে পারে। গোটা দেশে ত্রিপুরা রাজ্য পর্যটন শিল্পে বৃহত্তম শিল্প হিসাবে স্বীকৃত লাভ করতে চলছে। স্মার্ট রাজ্য গড়তে এবং পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে চলছে পর্যটন দপ্তর।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.