পর্ষদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে এসে বিপাকে দূরের পরীক্ষকরা
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || জেলা ও মহকুমা থেকে আগরতলায় পর্ষদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে যাওয়া পরীক্ষকদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়নি। অধিকাংশ পরীক্ষকই পড়েছেন বিপাকে ।
সরকারী নির্দেশ পালন করতে তারা মফস্সল থেকে ছুটে গেছেন রাজধানীতে। কিন্তু থাকার বন্দোবস্ত করা হয়নি পর্ষদের তরফে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ। মূল্যায়নে নিযুক্ত বেশিরভাগ পরীক্ষকই গিয়েছেন দক্ষিণ জেলার মতো দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে।যাদের পক্ষে রোজ বাড়ি থেকে যাওয়া আসা করে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। আগরতলায় রাত্রি যাপন আবশ্যক। কিন্তু এতসংখ্যক শিক্ষক বা পরীক্ষক থাকবেন কোথায়? পরীক্ষকদের অনেকেই জানান, যারা আগরতলা বা সন্নিহিত এলাকার পরীক্ষক তারা রোজ বাড়ি থেকে অনায়াসে যাতায়াত করে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন। কিন্তু যারা শান্তিরবাজার, বিলোনীয়া কিংবা সাব্রুম প্রভৃতি মহকুমা থেকে গিয়েছেন তাদের কী অবস্থা?
সরকারী তরফে প্রতিটি উত্তরপত্র মূল্যায়ন পিছু দেওয়া হয় পাঁচ টাকা। দিনে ২০/২৫ টির বেশি মূল্যায়ন করা যায় না। এছাড়া সামান্য টিফিন খরচ দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে যা পাওয়া যায় তাতে হোটেলে রাত্রি যাপনের পয়সা হয় না। কেউ কেউ পরিজন বা বন্ধুদের বাড়িতে উঠেছেন। কিন্তু অন্যের বাড়িতে ক’দিন থাকা যায়। কমপক্ষে তিন সপ্তাহ ধরে চলবে মূল্যায়ন। সরকারী কাজে এসে বিড়ম্বনায় পড়েছেন মফস্সলের পরীক্ষকরা। অনেকের বক্তব্য, মূল্যায়ন পিছু পারিশ্রামিক এবং টিফিন বা রাহা খরচ তাদের চাই না। শুধু রাত্রি যাপনের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হোক ৷ হোটেল বা কোনও অতিথিশালায় থাকার ব্যবস্থা করা হলে উত্তরপত্র মূল্যায়নের মতো একটি দায়িত্বশীল এবং সংবেদনশীল কাজ যথাযথভাবে হবে নি:সন্দেহে।