পর্ষদের উত্তরপত্র ৪ লক্ষ ৪০ হাজার
ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ৪ লক্ষ ৪০ হাজার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। এই মূল্যায়ন কাজে অংশ নেবেন মোট ২৬৫২ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে ১১০ জন প্রধান পরীক্ষক, ৩৫২ জন সংশোধক এবং ২৩০০ জন পরীক্ষক। এর মধ্যে আবার মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নে অংশ নেবেন ১৪৯৭ জন পরীক্ষক, ২১১ জন সংশোধক ও ২৯ জন প্রধান পরীক্ষক।উচ্চমাধ্যমিকে অংশ নেবেন ৮০৩ জন পরীক্ষক, ১৪১ জন সংশোধক ও ৮১ জন প্ৰধান পরীক্ষক।বৃহস্পতিবার রাজ্য পর্ষদের তরফে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ দিন সকালে রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলার গোর্খাবস্তির পর্ষৎ কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই উপলক্ষে
সাংবাদিক সম্মেলনের আহ্বান করা হয়। পর্ষদের সভাপতি ড. ভবতোষ সাহা এবং সচিব ড. দুলাল দে উত্তরপত্র মূল্যায়ন সংক্রান্ত নানা তথ্য তুলে ধরেন। বলেন,২ মে থকে শুরু হবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন।উচ্চমাধ্যমিকে দুটি এবং মাধ্যমিকে চারটি বিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ছয়টি বিদ্যালয়ে চলবে এই কাজ।এ নিয়ে অবশ্য দৈনিক সংবাদে যথারীতি আগাম সংবাদ করা হয়েছে। তখন পর্যন্ত অবশ্য উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কোন বিদ্যালয়ে কোন বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়ন হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার উত্তরপত্রের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার, মাধ্যমিকের উত্তরপত্র প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য পর্ষদে নাম নথিভুক্ত করেছে ৩৮১৩০ জন পরীক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিকে নাম নথিভুক্ত করে ৩৩৪৫৩ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছে।মাধ্যমিক সমতুল মাদ্রাসা আলিমের ১২১ এবং উচ্চমাধ্যমিক সমতুল মাদ্রাসা ফাজিলের ৬২ জন পরীক্ষার্থী সহ এই হিসাব পর্ষদের। এবার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক উভয় ক্ষেত্রে প্রতি প্যাকেটে উত্তরপত্র থাকবে ১৮টি করে। পরীক্ষকদের ৭০ অথবা ৮০ নম্বরের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করতে হবে। হাতেকলমে তথা প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা আছে এমন বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে ৭০ নম্বরের। অন্য বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে ৮০ নম্বরের। ফলে এবার পরীক্ষকদের পক্ষে বেশি উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে বলে পর্যৎ কর্তৃপক্ষের আশা। পর্ষদের তরফে অবগত করা হয় যে উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন হবে দুটি বিদ্যালয়ে। মহারাণী তুলসীবতী উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয় এবং বড়দোয়ালী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে।মাধ্যমিকে এই কাজ চলবে নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন, বাণী বিদ্যাপীঠ, উমাকান্ত একাডেমি ইংরেজি মাধ্যম এবং বোধজং উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে।
২ মে থেকে মূল্যায়ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারী কাজের দিনগুলিতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই মূল্যায়ন। এ নিয়ে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের তরফেও প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেননা পর্ষদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে বিভিন্ন স্তরের অধ্যাপক – অধ্যাপিকা সহ প্রধানশিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা সহ শিক্ষক – শিক্ষিকারা অংশ নেবেন।ভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সঙ্গীতের মতো ৩০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র সহ মাদ্রাসা আলিম ও ফাজিলের উত্তরপত্র বাছাই করা শিক্ষক- শিক্ষিকাদের দিয়ে তাদের বাড়িতে মূল্যায়নের ব্যবস্থা হয়েছে। মাধ্যমিকের উত্তরপত্রের মূল্যায়নের জন্য তুলসীবতী এবং বড়দোয়ালীতে আলাদা আলাদা বিষয় বাছাই করা হয়েছে। তুলসীবতীতে অঙ্ক, রসায়ন শাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, জীববিদ্যা, পরিসংখ্যান, কম্পিউটারের মতো বিজ্ঞানের বিষয়গুলির উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া বাণিজ্য বিভাগের হিসাব শাস্ত্র, ব্যবসা সংগঠন ইত্যাদি সহ কলা বিভাগের দর্শন, ককবরক ও সংস্কৃতের উত্তরপত্র মূল্যায়ন হবে। বড়দোয়ালীতে মূল্যায়ন হবে কলা বিভাগের ইতিহাস, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, শিক্ষাতত্ত্বের পাশাপাশি সব বিভাগের ইংরেজি, বাংলা, ভূগোল ও মনস্তত্ত্বের।